Suicide

Nadia: সবসময় ফেসবুক! বাপের বাড়ি রেখে আসার ‘হুমকি’ স্বামীর, অভিমানে আত্মঘাতী স্ত্রী

স্বামীর ফেসবুক অ্যাকাউন্টেই নাকি স্ত্রী ফেসবুক করতেন। ক্রমশ নেটমাধ্যমের নেশা পেয়ে বসে তাঁকে। তাই নিয়ে সংসারে শুরু হয় অশান্তি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২২ ১২:০৬
Share:

অভিমানে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী স্ত্রী। প্রতীকী চিত্র।

নতুন স্মার্টফোন কেনা ইস্তক ফেসবুকে সদা সক্রিয় থাকতেন স্ত্রী। এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে মন কষাকষি হয় স্ত্রীর। আর তার পরই বিষ খেয়ে আত্নঘাতী হলেন ৩৩ বছরের মামণি অধিকারী। বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের ভীমপুর থানার কুলগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের কামারপাড়া এলাকায়। ইতিমধ্যে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, বছর ১৬ বছর আগে ভীমপুরের শুকদেব অধিকারীর বিয়ে হয় মামণির। শুকদেব পেশায় টোটোচালক। ওই দম্পত্তির পুত্রসন্তান দশম শ্রেণির ছাত্র। কিছু দিন আগে একটি স্মার্ট ফোন কিনেছিলেন শুকদেব। তাতে নিজের নামে একটা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। স্বামীর ফেসবুক অ্যাকাউন্টেই নাকি স্ত্রী ফেসবুক করতেন। ক্রমশ নেটমাধ্যমের নেশা পেয়ে বসে তাঁকে। দিনের বড় অংশই তিনি ফেসবুকে কাটাতেন বলে স্বামীর অভিযোগ। তা নিয়েই শুরু হয় অশান্তি।

সূত্রের খবর, গত ৩০ মে আগে স্ত্রীর ফেসবুক করা নিয়ে ঝগড়া করেন শুকদেব। কথা কাটাকাটির পর টোটো নিয়ে বেরনোর সময় স্ত্রীকেও তাঁর বাপের বাড়ি রেখে আসতে চান শুকদেব। টোটোতে উঠলেও মাঝ রাস্তাতে নেমে পড়েন মামণি। জানান, একাই বাপের বাড়ি যাবেন। এর পর শুকদেব নিজের কাজে চলে যান।তবে পরে বেতানায় শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে খোঁজ নিয়ে শুকদেব জানতে পারেন স্ত্রী সেখানে যাননি। তার পর খোঁজ খবর শুরু করেন তিনি। পরে বাড়ি ফিরে দেখেন স্ত্রী বাড়িতেই অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। চিকিৎসার পর গত ২ জুলাই হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয় মামণিকে। কিন্তু বাড়িতে ফিরে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর পর গত ৪ জুলাই আবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে বৃহস্পতিবার সকালে তিনি মারা যান।

Advertisement

সুকদেবের দাবি, ‘‘আমরা ডাক্তারকে বলেছিলাম সুস্থ হওয়ার আগে কেন ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা গুরুত্ব দেননি। ঠিক মতো চিকিৎসা হলে স্ত্রীকে বাঁচাতে পারতাম।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ওই দিন ফেসবুক করা নিয়ে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছিল। কিন্তু তার জন্য স্ত্রী এত বড় পদক্ষেপ করবে বুঝতে পারিনি।’’ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement