Death

Suicide: প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ মিলল কৃষ্ণনগরে, মেয়ের শ্বশুরবাড়ি ওষুধ কেনার টাকা দেওয়ায় আত্মঘাতী!

প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে তার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২২ ১৭:৫৯
Share:

প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। প্রতীকী চিত্র।

এক প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। মৃতের নাম রবীন জানা (৫২)। তিনি কৃষ্ণনগরের ভীমপুর থানার এলাঙ্গি এলাকার বাগপাড়ার বাসিন্দা। রবীন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। তবে পরিবারের সদস্যদের দাবি, মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁর চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য করা হয়েছিল সম্প্রতি। কিন্তু তা মেনে নিয়ে পারেননি রবীন। পাশাপাশি দীর্ঘ দিন রোগভোগে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলেও মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

রবিবার সকালে রবীনকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁকে প্রথমে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পর তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। রবীন পেশায় কৃষক। তাঁর স্ত্রী ছাড়াও দুই মেয়ে এবং এক ছেলে রয়েছে। বছরখানেক আগে তাঁর দুই মেয়ের বিয়েও হয়। বছর আড়াই আগে দুর্ঘটনার জেরে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন রবীন। তেমন আয় না থাকায় ঋণের জালেও জড়িয়ে পড়েন তিনি।

রবীনের ছেলে সুজয় বলেন, ‘‘আড়াই বছর আগে বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তার পর থেকে আর কাজ করতে পারত না। আমরাই দেখাশোনা করতাম। মা শনিবার ওষুধ কিনতে কৃষ্ণনগর গিয়েছিল। আমি হাজার টাকা দিয়েছিলাম। দিদি বাকি তিনশো টাকা দিয়েছিল। রাতে খাওয়াদাওয়া করে সকলে ঘুমোতে যায়। সকালবেলা দেখি বাবা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।’’ ভীমপুর থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement