প্রতীকী ছবি।
তিন বছর আগে বাঘের থাবায় প্রাণ হারিয়েছেন স্বামী। সরকারি প্রতিশ্রুতি থাকলেও ক্ষতিপূরণ পাননি গোসাবার কৌশল্যা মণ্ডল। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে এখনও নদীতে কাঁকড়া ধরতে যান তিনি। শুধু কৌশল্যা নন, সুন্দরবনের বহু স্বামী-হারা মহিলার এমনই দুরবস্থা। তাঁদেরই ১৯ জন বৃহস্পতিবার কলকাতা এক সাংবাদিক বৈঠকে অভাব-অভিযোগ জানালেন। তাঁদের বক্তব্য, বাঘ বা কুমিরের হানায় মৎস্যজীবীদের নানান ক্ষতিপূরণের কথা বলা হলেও বাস্তবে তা মেলে না। বহু ক্ষেত্রে সরকারি আধিকারিকেরা নানান নথি জমা দিতে বলেন। তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের নেতা মিলন দাসের বক্তব্য, সুন্দরবনে কোর এলাকায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ। তার উপরে মাত্র হাজার চারেক মৎস্যজীবীকে মাছ ধরার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মৎস্যজীবীর সংখ্যা অনেক বেশি। তাই ছাড়পত্রবিহীন মৎস্যজীবীরাও মাছ বা কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের পেটে যাচ্ছেন। এই সমস্যা মেটানোর দাবি জানান তিনি। পরিবেশকর্মী নব দত্তের বক্তব্য, সুন্দরবনের মানুষজন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জঙ্গলের উপরে নির্ভরশীল হলেও অরণ্যের অধিকার আইনের সুবিধা তাঁরা পান না।