ছবি এএফপি।
চাষিদের নায্যমূল্য পাইয়ে দিতে সরকার এক সময় নিজেরাই সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে আলু কিনেছিল। এমনই ৪২ হাজার টন আলু হিমঘরে রেখেছে কৃষি বিপণন দফতর। উদ্দেশ্য ছিল, রাজ্যবাসীর সঙ্কটে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারি আলু বাজারে ছাড়া হবে। সেই সঙ্কট উপস্থিত। কলকাতার কোনও কোনও বাজারে আলুর দাম প্রতি কিলোগ্রাম ৪০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। কিন্তু তার পরেও হিমঘরে জমা থাকা ৪২ হাজার টন আলু এখনই বার করতে চাইছে না সরকার। তা বার করে নিলে সুফল বাংলার স্টলগুলি থেকে ভরতুকির আলু বিক্রি করতে গুণাগার দিতে হত না বলে মনে করছেন দফতরের কর্তাদের একাংশ।
কৃষি বিপণন দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, কেন সরকার আলু সঙ্কটে নিজেদের হাতে থাকা আলু বাজারে ছাড়ছে না, তার কোনও ব্যাখ্যা নেই। দফতরের তরফে প্রস্তাব গেলেও নবান্ন তাতে রাজি হচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন কর্তারা।
কর্তারা জানাচ্ছেন, রাজ্যে এখন ৩০০টি সুফল বাংলার স্টল ও গাড়ি ঘুরে ঘুরে নায্যমূল্যে ফল সবজি বিক্রি করে। সুফল বাংলার স্টলে প্রতি কিলোগ্রাম ২৫ টাকা দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন দুই লরি আলু কলকাতা ও আশপাশের বাজারগুলিতে বিক্রি হয়। সুফল বাংলার স্টলগুলিতে সরবরাহের জন্যই প্রতিদিন যে এক হাজার বস্তা আলু খোলা বাজারে কিনতে হচ্ছে তাতে সরকারের অতিরিক্ত দেড় থেকে ২ লক্ষ টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, কৃষি বিপণন দফতরের প্রস্তাব ছিল, চাষিদের কাছ থেকে আলু কিনে ৪২ হাজার টন হিমঘরে মজুত করা হয়েছে। সেই আলু এখন বার করে নিয়ে সরকার কলকাতা-সহ জেলাগুলিতেও সরবরাহ করতে পারবে। বাজারে আলুর জোগান সুফল বাংলার মাধ্যমে বাড়িয়ে দিলে দামও নিয়ন্ত্রিত হয়ে যাবে।