পুরকর্মীর মৃত্যুতে পোষ্যকে চাকরি নয় কেন, প্রশ্ন কোর্টে

কর্মরত অবস্থায় সরকারি কর্মীর মৃত্যু হলে পোষ্যকে ‘কমপ্যাশনেট গ্রাউন্ড’-এ বা সমবেদনা-ভিত্তিক চাকরি দেওয়ার বন্দোবস্ত আছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, পুরকর্মীদের ক্ষেত্রেও কি এই ব্যবস্থা প্রযোজ্য? যদি প্রযোজ্য না-হয়, তা হলে প্রশ্ন হচ্ছে, কেন নয়?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৮ ০৪:০০
Share:

কর্মরত অবস্থায় সরকারি কর্মীর মৃত্যু হলে পোষ্যকে ‘কমপ্যাশনেট গ্রাউন্ড’-এ বা সমবেদনা-ভিত্তিক চাকরি দেওয়ার বন্দোবস্ত আছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, পুরকর্মীদের ক্ষেত্রেও কি এই ব্যবস্থা প্রযোজ্য? যদি প্রযোজ্য না-হয়, তা হলে প্রশ্ন হচ্ছে, কেন নয়?

Advertisement

ঘাটাল, কুলটি-সহ কিছু পুরসভায় সমবেদনা-ভিত্তিক চাকরি না-পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন জনা তিরিশ প্রার্থী। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের আদালতে মঙ্গলবার তার শুনানিতে রাজ্য সরকার জানায়, পঞ্চায়েত ছাড়া রাজ্যের অধীন অন্য কোনও দফতরে এই ধরনের চাকরির ‘স্কিম’ বা প্রকল্প নেই। এই প্রকল্পে চাকরি দেওয়ার অনুমতি চেয়ে সংশ্লিষ্ট পুরসভাগুলি শ্রম ও অর্থ দফতরের অনুমতি বা ছা়ড়পত্র নেয়নি।

গভর্নমেন্ট প্লিডার (জিপি) জয়তোষ মজুমদার জানান, তাঁরাই এই ধরনের চাকরি পেতে পারেন, যাঁদের বাবা বা মা রাজ্য সরকারের কর্মী ছিলেন। পুরসভাগুলি স্বশাসিত। তাদের কোনও কর্মী সরকারি কর্মী নন। জিপি আদালতে আরও জানান, নিয়ম অনুযায়ী কর্মরত অবস্থায় কোনও সরকারি কর্মীর মৃত্যু হলে, কর্মরত অবস্থায় প্রতিবন্ধকতা বা অন্য কোনও কারণে কর্মক্ষমতা হারালে তাঁর স্বামী বা স্ত্রী বা ছেলে বা অবিবাহিত মেয়ে চাকরি পাবেন। ২০১৩ সালে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই ধরনের চাকরি পাওয়ার নিয়মবিধি সংশোধন করা হয়েছে। রাজ্যের অধীন অন্য কোনও সংস্থার ক্ষেত্রে এ ভাবে চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। এই ধরনের চাকরি দিতে হলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে শ্রম ও অর্থ দফতরের অনুমতি বা ছাড়পত্র নিতে হবে। নইলে সংশ্লিষ্ট সংস্থা ‘কমপ্যাশনেট গ্রাউন্ড’-এ কাউকে চাকরি দিতে পারবে না। ২০ জুন আবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement