—ফাইল চিত্র।
অর্থ লগ্নি সংস্থা সারদার আর্থিক কেলেঙ্কারিতে রাজ্যের বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতারের পর্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশেষ তৎপর হতে দেখা যায়নি। কিন্তু একই মামলায় কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের গ্রেফতারি এড়াতে মুখ্যমন্ত্রী হঠাৎ সক্রিয় হয়ে উঠলেন কেন, কলকাতা হাইকোর্টে সোমবার সেই প্রশ্ন তুলল সিবিআই।
সারদা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজীবকে নোটিস পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই নোটিসের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছেন প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার। বিচারপতি মধুমতী মিত্রের আদালতে এ দিন সেই মামলার শুনানিতে ওই প্রশ্ন তোলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী ইয়েডেজার্ড জাহাঙ্গির দস্তুর। তিনি বলেন, ‘‘সারদা মামলায় অভিযুক্ত নেতা-মন্ত্রীদের যখন গ্রেফতার করা হয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী তখন ধর্নায় বসেননি। কিন্তু রাজীবের বাড়িতে সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা হাজির হওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী ধর্নায় বসে পড়েন। কেন?’’
সিবিআইয়ের কৌঁসুলি আদালতে অভিযোগ করেন, যখনই রাজীবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হচ্ছে, তখনই তিনি আইনশৃঙ্খলার দোহাই দিয়ে এক মাস সময় চেয়ে নিচ্ছেন। ওই আইনজীবীর প্রশ্ন, ‘‘যদি রাজীব নির্দোষই হবেন, তা হলে বারবার হাজিরা এড়াচ্ছেন কেন?’’
প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার সিবিআইয়ের কাছে ঠিকঠাক তথ্য পেশ করছেন না বলে অভিযোগ জানিয়ে দস্তুর আদালতে বলেন, সারদা মামলায় বিভিন্ন পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা সিবিআইয়ের কার্যালয়ে হাজিরাও দিয়েছেন। তাঁদের গ্রেফতার করা হয়নি। রাজীব কেন হাজির হচ্ছেন না, সেই প্রশ্ন তোলেন ওই আইনজীবী।
দস্তুর জানান, রাজ্য সরকার সারদা-কাণ্ডে যে-সিট বা বিশেষ তদন্ত দল গড়েছিল, তার সদস্যেরা ২০১৪ সালে সিবিআই-কে সব নথি দিয়েছে বলে রাজীবের দাবি। কিন্তু রাজীবের ঘনিষ্ঠ এক পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেই গত ২৯ জুন আট ট্রাঙ্ক নথি সিবিইয়ের কাছে পাঠিয়ে দেয় রাজ্য পুলিশ। সেই নথি আগে কেন পাঠানো হয়নি, প্রশ্ন তোলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। তিনি অভিযোগ করেন, সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে রাজীব কুমার সক্রিয় ভাবে অসহযোগিতা করে চলেছেন।