অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে অভিষেকের কন্যা। মঙ্গলবার ভবানীপুরে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
কয়লা তদন্তে মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তার ঠিক আগেই কালীঘাটে অভিষেকের বাড়িতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়েই দুপুর থেকে তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে। বিরোধীদের প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী কি তদন্ত প্রভাবিত করতে গিয়েছিলেন? তৃণমূলের জবাব, অভিভাবক হিসেবে তিনি যেতেই পারেন।
অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া সময়মতো এ দিনই তাঁদের কালীঘাটে যাওয়ার কথা ছিল সিবিআইয়ের। তার আগেই মুখ্যমন্ত্রী কেন সেখানে গিয়েছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘রাজীব কুমারে বাড়িতে যখন সিবিআই গিয়েছিল, তখন সেখানেও গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ উনি কী করতে গিয়েছেন?’’ তারপরই দিলীপের মন্তব্য, ‘‘হয় সিবিআইকে ধমকাতে বা তদন্তকে প্রভাবিত করতে নয়তো কিছু লুকোতে। ডাল মে কুছ কালা। যেখানেই দুর্নীতি, সেখানেই দিদিমণি পৌঁছে যান।’’
দিলীপবাবুর অভিযোগের জবাবে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, তাঁর সঙ্গে রাজনৈতিক লড়াইতে না পেরে অভিষেককে হেনস্থা করা হচ্ছে। তিনি তো অভিভাবক হিসেবে যেতেই পারেন।’’
এ নিয়ে খোঁচা দিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওই বাড়িটাও হয়ত মুখ্যমন্ত্রীরই বাড়ি। তিনি হয়ত বলতে গিয়েছেন, তাঁর অপরাধের জন্যেই অভিষেকদের তদন্তের মুখে পড়তে হচ্ছে। তাই তিনি পাশে থাকবেন।’’ কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান বলেন, ‘‘কোনও ছেলে খুন করে জেলে গেলেও তাঁর মা দেখা করতে যান। ভাইপোর কাছে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে সিবিআই ভোটের আগে যা করছে তা ভোটকে প্রভাবিত করার চেষ্টা।’’