বুধবার সকাল এবং বিকেলে দুই পোশাকে অনুব্রত। নিজস্ব চিত্র।
জেল হেফাজতে অনুব্রত। সাদা পাজামা আর নীল পাঞ্জাবিতে আসানসোল জেলে ঢুকলেন নীল-সাদা অনুব্রত।
আসানসোলের আদালতে অনুব্রত মণ্ডল এসে ঢুকেছিলেন ধবধবে সাদা রঙের পাঞ্জাবি পরে। অথচ জেল হেফাজত পেয়ে যখন তিনি আদালত থেকে বেরোলেন, তখন কেষ্টর পরনে গাঢ় নীল রঙের পাঞ্জাবি! কিন্তু কী করে?
বিচারকক্ষে প্রবেশ এবং প্রস্থানের মাঝে এই ভোলবদল তখনই সম্ভব যদি কেষ্ট বিচারকক্ষে বসেই পোশাক বদলে ফেলে থাকেন। কিন্তু অনুব্রত কি তাঁর আরও অনেক অভূতপূর্ব কাজের মতো বিচারকক্ষে বসেই বেশ বদলাতে পারেন?
বীরভূমের তৃণমূল নেতার পক্ষে কি এ কাজও সম্ভব? অনুব্রতের আসানসোল আদালতে প্রবেশ এবং আসানসোল জেলের উদ্দেশে প্রস্থানের দু’প্রস্থ ভিডিয়ো দেখে সেই প্রশ্ন উঠছিল। উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা গেল, কেষ্ট তাঁর পোশাকটি বদলে ফেলেন জেলে যাওয়ার নির্দেশ শোনার পরে পরেই। আদালতের মধ্যেই হয় পোশাক পরিবর্তন। তবে বিচারকের সামনে নয়। বিচার চলাকালীনও নয়।
আসানসোল আদালতের বিচারকক্ষে তখন সবে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী অনুব্রতের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়ে আসন ছেড়েছেন। বিচারকের নির্দেশ অনুসারে অনুব্রতের ৩৭ রকমের ওষুধের হিসেব নেওয়ার পর্ব চলছে। আদালতে যাঁরা তখন উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা জানিয়েছেন, এই সময়ই পোশাক বদলান অনুব্রত।সকালে যে পাঞ্জাবিটি পরে তিনি নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়েছিলেন, সেটি বদলে পরে নেন নীল রঙের পোশাক, যা তাঁর পাশে বসা পরিচারকের ব্যাগেই রাখা ছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
তবে পোশাক বদলের যে কারণটি জানা গিয়েছে, সেটি অনুব্রতের সম্পর্কে এত দিন জানা ছিল না। সূত্রের খবর, অনুব্রতের অভ্যাস দিনে দু’বার পোশাক বদলানো। সেটি তাঁর শারীরিক কোনও অস্বস্তির কারণে কি না, তা জানা না গেলেও ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর এটাই বীরভূমের তৃণমূল নেতার দীর্ঘ দিনের স্বভাব। বুধবারও জেলে যেতে হবে শুনেই তাঁর পোশাক কোর্টরুমে বদলে নেন অনুব্রত। যাতে জেলে গিয়ে আর পোশাক পরিবর্তন করতে না হয়। জেল হেফাজতে নির্দেশ পেয়েও বিশেষ চিন্তিত দেখায়নি বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে তবে ওই পোশাক বদলই ছিল তাঁর জেলে যাওয়ার প্রথম প্রস্তুতি।