অ্যাংলো ইন্ডিয়ানরা কেন বাদ, সরব মমতা

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে বৈষম্যের ছোঁয়াচ ঘিরে এ দিন সরব হন রাজ্যের খ্রিস্টান সমাজের কর্তাব্যক্তিরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:৫৩
Share:

বড়দিনের উৎসবের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: পিটিআই।

শুধু মুসলিমেরাই নয়, খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধেও কেন্দ্রীয় সরকার এক ধরনের বৈষম্যের খেলা খেলছে বলে সোমবার অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুরে ‘মুসলিম-বিরোধী’ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী মিছিলে হাঁটার পরে সন্ধ্যায় কলকাতার বার্ষিক ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যালের মঞ্চকে এই তোপ দাগার জন্য বেছে নিয়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘এ মাটি সবার মাটি। কিন্তু কখনও মুসলিমেরা বাদ পড়ছেন, কখনও খ্রিস্টানেরা বাদ পড়ছেন, কখনও অম্বেডকরপন্থীরা! এটা গণতন্ত্র নয়।’’ এ কথা বলার ঠিক আগেই তিনি সংসদের দু’টি আসন এবং ১৪টি রাজ্যের বিধানসভায় অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের মনোনীত পদগুলি খারিজের জন্য কেন্দ্রের শাসক দলের সমালোচনা করেন। এ ছাড়া, বড়দিনের ছুটিকে কেন্দ্র বাতিল করেছে বলেও মমতা নিন্দা করেছেন। তবে অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিন উপলক্ষে কেন্দ্র ২৫ ডিসেম্বর ‘সুশাসন দিবস’ বলে পালনের কথা বললেও বড়দিনের ছুটি কখনওই বাতিল হয়নি।

Advertisement

মমতা বলতে ওঠার আগেই অবশ্য সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে বৈষম্যের ছোঁয়াচ ঘিরে এ দিন সরব হন রাজ্যের খ্রিস্টান সমাজের কর্তাব্যক্তিরা। অ্যাসেম্বলি অব গড চার্চ মিশনের মতো আন্তর্জাতিক খ্রিস্টান সংগঠনের কর্তা আইভ্যান সত্যব্রত বলেন, ‘‘এই নতুন আইন সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করেনি। তা যিশুর বেদনা উস্কে দিচ্ছে। জন্মের সময়ে যিশুর ঘর ছিল না। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনেও সবার ঘর নেই। যিশুর মতোই কাউকে কাউকে ব্রাত্য করে রাখা হচ্ছে।’’ এই কথার সূত্রেই অ্যালেন পার্কের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ‘‘অনেকে আজকাল ভাবেন, দেশে আমরা ভবিষ্যতে থাকতে পারব না। না, আমরা কাউকেই অস্তিত্বের ঠিকানা হারাতে দেব না।’’ বড়দিনের উৎসব আদতে জাতধর্ম নির্বিশেষে সবার উৎসব বলে বার্তাটি দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতা শুরু করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ, গাঁধী, রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ, নেতাজির আদর্শে জারিত বাংলার মধ্যেই প্রকৃত ভারতবর্ষ বেঁচে আছে বলে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী সরব হয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘‘আমার জীবন গেলে যাবে, কিন্তু ঘৃণার রাজনীতির সামনে মাথা নোয়াব না।’’

আরও পড়ুন: ‘আপাতত’ এনপিআরের কাজ বন্ধ, সাংবিধানিক সঙ্কট কি না সংশয়

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement