একদিকে তৃণমূল, অন্য় দিকে, বিজেপি— চলছে পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানানোর পালা। — নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানানোর ব্যাপারেও রাজনীতির আকচাআকচি। তারই সৌজন্যে দু’দলের মধ্যে টানটান প্রতিযোগিতা দেখল বীরভূমের সিউড়ি। কেউ এক পরীক্ষার্থীর হাতে পেন তুলে দিচ্ছেন, তো পর ক্ষণেই প্রতিপক্ষ শিবির সেই পড়ুয়ার অন্য হাতে গুঁজে দিচ্ছে জলের বোতল। তৃণমূল-বিজেপির এই ‘প্রতিযোগিতামূলক শুভেচ্ছা জানানোর লড়াই’য়ের মাঝে পড়ে বিব্রত জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দিতে যাওয়া পড়ুয়ারা।
কে আগে পরীক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেবেন পেন, জলের বোতল। এ নিয়ে বিজেপি-তৃণমূলের প্রতিযোগিতা দেখলেন
সিউড়িবাসী। মাধ্যমিক পরীক্ষা
শুরুর প্রথম দিনই এমন ঘটনা নজরে আসে সিউড়ি মিউনিসিপ্যালিটি গার্লস হাই স্কুলের
সামনে। যেখানে দেখা গেল, একজন পরীক্ষার্থীকে দেখতে পেয়ে বিজেপির এক কর্মী ছুটে এলেন
তার হাতে পেন তুলে দেওয়ার জন্য। আবার
সঙ্গে সঙ্গেই তৃণমূলের এক কর্মী ছুটে এসে পেনের সঙ্গে জলের বোতলও তুলে দিলেন একই
পড়ুয়ার হাতে। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দিতে হলে ঢোকার মুখে এমন ঘটনায় হতচকিত
পড়ুয়ারা। বিরক্ত তাঁদের মা, বাবারাও। কিন্তু কে শোনে কার কথা! পরীক্ষার্থীদের
হাতে একাধিক পেন, জলের বোতল তুলে দিয়েই শেষ পর্যন্ত ক্ষান্ত দেন রাজনীতির
কারবারিরা। যা নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। তাঁদের দাবি, এ
সব না করে আগে ছেলেমেয়েদের পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সুব্যবস্থা করা উচিত ছিল
রাজনীতিকদের।
যদিও এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, কোন রাজনৈতিক দল কী দিচ্ছে তা তারা জানে না। সারা বছর তৃণমূল মানুষের পাশে থাকে বলেই পরীক্ষা শুরুর দিন তাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে। অন্য দিকে, বিজেপির দাবি, সারা বছর কারও পাশে না থেকে পরীক্ষার সময় লোক দেখানোর জন্য এ সব কাজ করতে আসছেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। গেরুয়া শিবিরের দাবি, তারাই সারা বছর পরীক্ষার্থীদের পাশে থাকে।