প্রতীকী ছবি।
কোভিড আবহে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিরোধীরা। এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশন না নিলেও, এ ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়নি বলেই সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি। পরিস্থিতির গতিপ্রকৃতি কোন দিকে এগোয়, তার উপরে নির্ভর করে আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি ছবিটা পুরোপুরি স্পষ্ট হতে পারে বলে কমিশন-কর্তাদের অনেকে মনে করছেন।
যদিও শনিবার প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে পাঠানো চিঠিতে কমিশনের পরামর্শ, কোভিড সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী রেখচিত্রের মধ্যে বড় প্রচারসভা বা মিছিলের বদলে ডিজিটাল এবং সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করা হোক। কমিশন আরও মনে করিয়ে দিয়েছে, তাদের নির্দিষ্ট করে দেওয়া কোভিড-বিধি ভঙ্গ করলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে অতিমারি আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে। এই বিধি কঠোর ভাবে কার্যকর করতে জেলা প্রশাসনের কর্তাদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর এবং বিধাননগরে পুরভোট হওয়ার কথা। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিকে গত ৩০ ডিসেম্বর সবিস্তার কোভিড বিধি পাঠিয়েছিল কমিশন। তার পরে সেই বিধিতে কিছুটা পরিমার্জন করা হয়। কিন্তু ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের পরিস্থিতিতে ৬ জানুয়ারি ফের বিধি সংশোধন করে বড় জমায়েতে লোকসংখ্যা ৫০০ থেকে কমিয়ে ২৫০ করেছে কমিশন। এ দিন রাজনৈতিক দলগুলিকে পাঠানো চিঠিতে কমিশন জানিয়েছে, বড় জমায়েত এড়াতে সভা বা মিছিলের বদলে ডিজিটাল এবং সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করা হোক। কমিশন স্পষ্ট করে দিয়েছে, বিধিভঙ্গ হলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী বা দলের বিরুদ্ধে অতিমারি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থার পাশাপাশি পরবর্তী প্রচারের অনুমতি বাতিল করবে জেলা প্রশাসন।
প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের ধারণা, কোভিড সংক্রমণ যে ভাবে বাড়ছে, তাতে পরিস্থিতির প্রতিকূলতা বুঝছেন কমিশনের কর্তারাও। তাই দফায় দফায় বিধি পরিমার্জন করতে হচ্ছে তাঁদের। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের পাশাপাশি সতর্কবার্তা পাঠাতে হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলিকেও। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ এবং বিরোধীদের দাবি মেনে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছে না কমিশন। কমিশন কর্তাদের ব্যাখ্যা, ভোট পিছিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে রাজ্য সরকার এখনও কোনও প্রস্তাব কমিশনকে পাঠায়নি। কমিশনের এক কর্তার কথায়, “পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে আগামী বুধ-বৃহস্পতিবারের মধ্যে গোটা বিষয়টা স্পষ্ট হবে।”