ফাইল চিত্র
এখনই লোকাল ট্রেন চালাতে চায় না রাজ্য। এমনই ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন, ‘‘এখন ট্রেন চালালে করোনা আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে।’’ তবে লোকাল ট্রেন আরও কতদিন বন্ধ থাকবে সে ব্যাপারে কিছু বলেননি মমতা।
লোকাল ট্রেনের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন স্টেশনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার লোকাল ট্রেন চালুর দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল হয় শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখা। বিক্ষোভ ওঠাতে গেলে পুলিশকে তাড়া করেন বিক্ষোভকারীরা। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়িও। সংবাদমাধ্যমের কর্মীদেরও উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে।
সাংবাদিক বৈঠকে এ নিয়ে প্রশ্ন করতেই মমতা বলেন, ‘‘এখন এ সব প্রশ্ন করবেন না। আগে করোনা পরিস্থিতি সামলাতে দিন। এখনই ট্রেন চালালে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে।’’ তবে মমতা দাবি করেন, ট্রেন বন্ধ থাকলেও পণ্য পরিবহণে সে ভাবে সমস্যা হচ্ছে না। কারণ, সব্জি-সহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সড়ক পথে পরিবহণে ছাড় দেওয়া রয়েছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় গত ৬ মে থেকে লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়। সে দিন থেকেই কার্যত লকডাউন পরিস্থিতি বা সামুহিক আত্মশাসন চালু হয় রাজ্যে। পরে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় মিললেও এখনও রাজ্যে লকডাউন পরিস্থিতিই চলছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের যা ঘোষণা, তাতে ৩০ জুন পর্যন্ত চলবে এই সব বিধি নিষেধ। শুধু লোকাল ট্রেনই নয়, বাস, লঞ্চ ইত্যাদি গণপরিবহণ ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। আশা করা হচ্ছিল, ১ জুলাই থেকে লোকাল ট্রেন-সহ অন্যান্য গণ পরিবহণের সব কিছু না হলেও কিছুটা ছাড় মিলতে পারে। কিন্তু বৃহস্পতিবার মমতার বক্তব্য থেকে মনে করা হচ্ছে লোকাল ট্রেন চালু করতে আরও কিছুটা সময় নিতে পারে রাজ্য। এই দফার লকডাউন পরিস্থিতি-র পর্যালোচনার পরেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।