গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকে নজর ছিল সারা দেশের। চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় গত এক মাস ধরে তোলপাড় বাংলা। তদন্তের ভার এখন সিবিআইয়ের হাতে। তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ জমা দেওয়ার কথা ছিল সোমবারই। শীর্ষ আদালতের শুনানিতে একাধিক বার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্যকে। আবার সিবিআই প্রশ্ন তোলে ফরেন্সিক রিপোর্ট নিয়ে। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানতে চাইলেন, “মৃতদেহ (মহিলা চিকিৎসকের) কখন ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়? তার চালান কোথায়?” শুনানির একটি পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বললেন, “হাসপাতালে কত বরাদ্দ হয়েছে জানতে চাই না। ওই হাসপাতালে কী করা হয়েছে জানতে চাইছি।” যা যা ঘটল শুনানিতে —
রাজ্যের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল: আমরা একটি স্টেটাস রিপোর্ট ফাইল (দাখিল) করেছি। চিকিৎসকেরা কাজে যোগ দিচ্ছেন না। চিকিৎসার অভাবে ২৩ জন মানুষ মারা গিয়েছেন।
কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল (এসজি) তথা সিবিআইয়ের আইনজীবী তুষার মেহতা: সিবিআইয়ের স্টেটাস রিপোর্ট তৈরি রয়েছে।
তার পরেই এসিজি-র অভিযোগ, রাজ্য হলফনামায় কী বলেছে আদালতে, তা জানানো হয়নি। তিনি মন্তব্য করেন, ‘‘কেন তারা (রাজ্য) সিবিআই থেকে লুকোতে চাইছে?’’ পাল্টা রাজ্যের তরফে জানানো হয় কোনও কিছু ‘ফাইল’ করা হয়নি। বিচারপতিতে শুধুমাত্র একটি প্রতিলিপি দেওয়া হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় (সিবিআইয়ের আইনজীবীকে): তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট আমাদের দেখতে দিন। পর ক্ষণেই প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ থেকে অধ্যক্ষের (তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ) বাসস্থানের দূরত্ব কত?
এসজি: ১৫-২০ মিনিট হবে। এর পর সিবিআইয়ের এক আইনজীবী একটি কাগজ আদালতের সামনে তুলে ধরেন।
প্রধান বিচারপতি: আমরা দুটো বিষয়ে ব্যাখ্যা চাই। প্রথমত, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা কখন দায়ের করা হয়েছিল?
রাজ্য: ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ দেওয়া হয়েছিল দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে। আর অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা এন্ট্রি করা হয়েছিল দুপুর ২:৫৫ মিনিটে।
প্রধান বিচারপতি: আর জিডি এন্ট্রি?
রাজ্য: দুপুর ২টো ৫৫ মিনিটে।
সিবিআই (সঙ্গে সঙ্গে): এটা মেডিক্যাল রিপোর্ট হতে পারে। কারণ, জিডি এন্ট্রি হয়েছে রাত সাড়ে ১১টার সময়।
রাজ্য: আমি তথ্য যাচাই করেই বলছি। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সমস্ত ভিডিয়োগ্রাফি করা রয়েছে।
প্রধান বিচারপতি: সার্চ এবং সিজ়ার ঠিক কখন করা হয়েছিল?
রাজ্য: রাত সাড়ে ৮টা থেকে রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে।
সিবিআই: দেহ পাওয়া গিয়েছে সকাল ৯টায়। তার এত পরে....। (কথা শেষ হল না)
প্রধান বিচারপতি: সিসিটিভি ফুটেজ়ে দেখা গিয়েছে, অভিযুক্ত কখন সেমিনার রুমে প্রবেশ করেন এবং সেখান থেকে বার হন। সেই সমস্ত ফুটেজ় সিবিআইকে দেওয়া হয়েছিল?
এসজি: আমরা কিছু ফুটেজ় পেয়েছি। তার ভিত্তিতে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছি।
প্রধান বিচারপতি: আমরা জানতে চাইছি, রাত ৮টা ৪৫ মিনিট থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ফুটেজ় কি সিবিআইকে দিয়েছিল কলকাতা পুলিশ?
এসজি: আমরা ২৭ মিনিটের ফুটেজ় পেয়েছি।
রাজ্য: ভিডিয়োর কিছু ফুটেজ় দেওয়া হয়েছে। বাকি অংশে কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা রয়েছে।
এসজি: বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। ফরেন্সিক রিপোর্ট অনুযায়ী, যখন নির্যাতিতার দেহ দেখতে পাওয়া যায়, তখন তা অর্ধনগ্ন অবস্থায় ছিল। দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল। পুলিশ সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে এবং ফরেন্সিকের জন্য পাঠায়। সিবিআই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই সব নমুনা তারা দিল্লির এমস্ বা অন্য কোনও ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠাবে। এতে দু’রকম ফল আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রধান বিচারপতি: ‘ওপেন কোর্ট’-এ আমরা এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। আগামী সোমবার আপনারা তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট দিন।
আরজি কর নিয়ে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ: সিবিআই তদন্ত করছে। পরবর্তী শুনানির দিন সিবিআই নতুন করে রিপোর্ট দেবে। ওই দিনই আদালত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। আগামী মঙ্গলবার মামলার পরবর্তী শুনানি।
এসজি: আমাদের দেখা উচিত ঘটনাস্থল থেকে কে নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন।
প্রধান বিচারপতি: আপনি সেটা করতে পারেন। আদালত বাধা দিচ্ছে না।
এসজি: ওই হাসপাতালে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও রাজ্য তাদের থাকার বন্দোবস্ত নিয়ে কিছু করছে না।
(সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গত ২০ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে সিআইএসএফ জওয়ান মোতায়েন করা হয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। গত মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের কাছে তারা জানায়, আরজি করে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং মৃত্যুর ঘটনার পর যে সিআইএসএফ জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছে, তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেনি রাজ্য সরকার। অমিত শাহের মন্ত্রকের তরফে এ-ও দাবি করা হয়, জওয়ানদের জন্য ন্যূনতম ব্যবস্থা করেনি মমতার সরকার। মেটাল ডিটেক্টরের মতো নিরাপত্তার জন্য একান্ত প্রয়োজনীয় জিনিসেরও ব্যবস্থা করা হয়নি)
রাজ্য: তারা (কেন্দ্রীয় বাহিনী) যা যা চেয়েছে আমরা সব দিয়েছি।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর মহিলা জওয়ানদের জন্য কী কী বন্দোবস্ত করা হয়েছে, সেই তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়।
আরজি কর নিয়ে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ: আরজি কর হাসপাতালে তিন কোম্পানি কেন্দ্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। রাজ্য জানিয়েছে ওই বাহিনীর জন্য সমস্ত বন্দোবস্তই করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যার মধ্যেই এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে তিন জায়গায় রাখার বন্দোবস্ত করতে হবে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর এবং সিআইএসএফের এক জন করে সিনিয়র অফিসার মিলে বাহিনীর থাকার বন্দোবস্ত নিশ্চিত করবেন। নতুন কোনও কিছুর প্রয়োজন হলে ওই দুই অফিসার সন্ধ্যা ৫টার মধ্যেই সেটার বন্দোবস্ত করবেন। আর নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম রাত ৯টার মধ্যে রাজ্যকে দিতে হবে।
কলকাতা হাই কোর্টে এক জনস্বার্থ মামলাকারীর তরফে আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি: ময়নাতদন্ত সন্ধ্যা ৬টার পর করা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশ মেনে ভারতের কোথাও সন্ধ্যা ৬টার পরে ময়নাতদন্ত করা হয় না। আমি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পারদিওয়ালার প্রশ্নের উত্তর দিতে চাই। সার্চ এবং সিজ়ার করার পর কোনও এফআইআর রেজিস্ট্রি করা হয়নি। নির্যাতিতার জামাকাপড় ময়নাতদন্তে পাঠানোর পরে দেওয়া হয়।
প্রধান বিচারপতি: রিপোর্ট আমাদের দেখান।
আইনজীবী এডুলজি: রিপোর্টে বিস্তারিত কিছু নেই। উত্তরবঙ্গ লবির চিকিৎসকদের একাংশ উপস্থিত ছিলেন সেখানে। জিডি এন্ট্রিতে পুরো বিষয়টি পরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে। (সঙ্গে সঙ্গে আপত্তি জানায় রাজ্য)
রাজ্য: তা হলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করা হোক। তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
আইনজীবী এডুলজি: ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে চমকে যাবেন। দয়া করে দেখুন কী ভাবে রিপোর্টে তথ্য বিকৃত করা হয়েছে। তবে ভিডিয়োগ্রাফি কে করেছিলেন, তার কোনও তথ্য নেই। রাইটেবল সিডি ছিল না কি রিরাইটেবল কোনও সিডি, সেই বিষয়েও কোনও তথ্য নেই। (ময়নাতদন্তের সময়) সেখানে যে চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা সকলেই উত্তরবঙ্গ লবির।
প্রধান বিচারপতি: রাত সাড়ে ১১টায় প্রথমে এফআইআর করা হয়। আমরা এটা ধরে চলতে পারি তো?
এসজি: ময়নাতদন্তের রিপোর্টটি কখন বানানো হয়েছিল, সেই সময়ের কথাও উল্লেখ নেই রিপোর্টে! সম্ভবত ওই আইনজীবী (এডুলজি) বলতে চাইছেন তার আগে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
আইনজীবী এডুলজি: দুপুর আড়াইটে থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত জেনারেল ডায়েরির (জিডি) এন্ট্রি হয়েছে। পুরোটা পরে তৈরি করা হয়নি তো? অনেক রহস্য রয়েছে। এটা অবাস্তব।
প্রধান বিচারপতি: আমাদের তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট দেখতে হবে।
আইনজীবী এডুলজি: মৃতার পা ৯০ ডিগ্রি কোণে ছিল। কোমরের হাড় ভাঙা না হলে, এটা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে এক্স-রে প্লেট কি দেওয়া হয়েছিল? তা ছাড়া নির্যাতিতার সোয়াবের নমুনা ৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় সংরক্ষিত হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু তা হয়নি।
এসজি: এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় প্রথম ৪-৫ ঘণ্টা খুবই চ্যালেঞ্জের। আমরা পাঁচ দিন পরে প্রবেশ করেছি।
প্রধান বিচারপতি: অভিযুক্ত ছাড়া ঘটনাস্থলে আর কে প্রবেশ করেছিলেন, পরের দিন আমাদের সেটা জানাবেন।
সিবিআইকে প্রধান বিচারপতি: ইনকোয়েস্ট হওয়ার পর দেহ ময়নাতদন্তের পাঠানোর প্রস্তুতির সময় সব ডকুমেন্ট আপনাদের কাছে আছে?
বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা: ময়নাতদন্তে নিয়ে যাওয়ার সময় একটি চালান তৈরি হওয়ার কথা। ওই চালান কনস্টেবল নিয়ে যান। যদি ওই চালান না থাকে তবে রাজ্যকে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে।
রাজ্য: আমরা এই বিষয়টি হলফনামা দিয়ে জানাব।
প্রধান বিচারপতি: ওই সব তথ্য এবং নথি না দেওয়া হলে সিবিআই তার জন্য আবেদন করতে পারবে।
আইনজীবী মহেশ জেঠমলানী: এক মাস হয়ে গেল আমরা চিকিৎসকের মৃত্যু নিয়ে স্পষ্ট কিছু জানতে পারছি না। নির্যাতিতার দেহ প্রথম কে দেখলেন? প্রথম বয়ান নেওয়া থেকে শুরু করে সব কিছুই তো দেরিতে হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি: ১৪ ঘণ্টা দেরি হয়েছে এফআইআর করতে।
আইনজীবী এডুলজি: ঘটনাস্থলের তথ্য, নথি বিকৃত করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি: আমরা এখনই এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। সিবিআইকে তদন্ত করতে দিন। আপনারা চাইছেন এই বিষয়ে আমরা পর্যবেক্ষণ রাখি। (একই সঙ্গে) ওই হাসপাতালে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। জরুরি বিভাগে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ থাকবে। সমাজমাধ্যমে নির্যাতিতার যে ছবি ছড়িয়ে পড়েছে, সবাইকে তা মুছে ফেলতে হবে। সিবিআইকে যে সব তথ্য তুলে দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো চালান ছিল না। পরবর্তী শুনানির দিন রাজ্যকে আদালতে তা পেশ করতে হবে।
রাজ্য: আদালতে নির্দেশের পরেও ডাক্তাররা কাজে যোগ দিচ্ছেন না।
চিকিৎসকদের আইনজীবী: জুনিয়র ডাক্তারদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা কয়েক জনের নামও দিতে পারি।
প্রধান বিচারপতি: আপনারা যদি কাজে যোগ না দেন তখনও যে আপনাদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ রাজ্য নেবে না, এমন নিশ্চয়তা আমরা দিতে পারব না। কিন্তু আপনাদের কী ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে সেটা জানান।
আরজি কর নিয়ে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ:
১) নিরাপত্তা নিয়ে ডাক্তারদের আস্থা অর্জনের জন্য রাজ্যকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। সব চিকিৎসকের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখে পদক্ষেপ করবেন জেলাশাসক এবং সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার।
২) পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য আলাদা আলাদা বিশ্রাম কক্ষ তৈরি করতে হবে।
৩) শৌচাগারের সুবন্দোবস্ত করতে হবে।
৪) সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে।
৫) ডাক্তাররা কাজে যোগ দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও বিভাগীয় পদক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্য। নিরাপত্তার বিষয়ে তাঁরা কোনও অভিযোগ জানালে পুলিশ সুপার বিষয়টি দেখে স্থানীয় থানাকে পদক্ষেপ করতে বলবেন।
রাজ্য এই প্রেক্ষিতে জানায় হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য আরও বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হবে। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কাজও শুরু হবে।
প্রধান বিচারপতি: মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার জন্য সময় দেওয়া হল। তার পরেও তাঁরা কাজে যোগ না দিলে রাজ্য তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করলে আদালত তাতে বাধা দেবে না। আর ডাক্তারদের যাঁরা হুমকি দিচ্ছেন তাঁদের নাম সিবিআইয়ের আইনজীবীকে দিতে হবে।
শুনানির সমাপ্তি।