ছবি: সংগৃহীত।
মেট্রোতে ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাপনা কেমন কাজ করছে, তা দেখার পরেই শহরতলির লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু করার কথা বিবেচনা করবেন রেল কর্তৃপক্ষ। যদিও পরিষেবা শুরু করা নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রেল নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে বলে বুধবার জানিয়েছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার সুনীত শর্মা। মান্থলি টিকিটের মেয়াদ বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। গত ৬ মাসের বেশি সময় লকডাউনের জন্য বেশিরভাগ যাত্রীর মান্থলি টিকিটের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে।
এ দিন এক অনলাইন সাংবাদিক বৈঠকে শর্মা জানান, মেট্রোর তুলনায় লোকাল ট্রেনের যাত্রী অনেক বেশি। পূর্ব রেলে সারা দিনে অন্তত ১৪০০ লোকাল ট্রেনে ৩০ লক্ষের বেশি যাত্রী যাতায়াত করেন। ফলে ট্রেন পিছু গড়ে যাত্রী সংখ্যা আড়াই হাজারের কাছাকাছি। এই সংখ্যক যাত্রীর চাপ নিয়ে কী ভাবে দূরত্ববিধি মেনে ট্রেন চালানো যাবে, তা নিয়ে চিন্তিত রেল। নির্দিষ্ট অনুমতি ছাড়া যাত্রীদের স্টেশনে ঢোকা ঠেকাতে সব স্টেশনে পর্যাপ্ত রক্ষী মোতায়েন করাও কঠিন কাজ বলে মনে করছেন রেল কর্তারা। মেট্রোর মতো অ্যাপ নির্ভর বা ডিজিটাল উপায়ে ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রেলে কার্যকর করা নিয়েও সংশয়ে তাঁরা। কারণ প্রত্যেকটি মেট্রো স্টেশনে যাত্রীদের প্রবেশ ও প্রস্থানের পথ নির্দিষ্ট হলেও রেলের ক্ষেত্রে তা নয়। ফলে পাতাল রেলের নিয়ম পুরোপুরি খাটবে এমন নিশ্চয়তাও দিতে পারছেন না রেল কর্তারা। তবু মেট্রোতে স্টেশনের বাইরে কী ভাবে যাত্রীদের ভিড় ঠেকানো হচ্ছে তা দেখেই এগোতে চাইছেন রেল কর্তৃপক্ষ। পরিষেবা শুরু করা নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা চেয়ে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ আগেই চিঠি দিয়েছেন। সেখানে রেল এবং মেট্রো কর্তাদের নিয়ে এক সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাবও ছিল। তবে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় রাজ্যে এক সঙ্গে রেল এবং মেট্রো পরিষেবা শুরু করার বিষয়টিতে সায় দেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।