ফাইল ছবি
রাজ্য আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বৈঠকে করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা।বৃহস্পতিবার সকালে তিনি এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) জ্ঞানবন্ত সিংহর সঙ্গে আলোচনায় বসেন। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে খোঁজ নেন তাঁর কাছ থেকে। এরপর রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। শেষে আইন শৃঙ্খলা নিয়ে ফের জেলার পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকদের কাছেও এ বিষয়ে রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন। কমিশন সূত্রে খবর, কেন গ্রেফতারি পরোয়ানা যথাযথ ভাবে কার্যকর হয়নি তাও জানতে চাওয়া হয়। সুনীল আরোরা স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছেন, ভোটের সময় হিংসা বরদাস্ত করা হবে না, তার জন্য আগে থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে।
এর পর কমিশনের ফুল বেঞ্চ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে কথা বলে। মূলত বাম এবং ডান বিরোধী দলগুলি একই সুরে অভিযোগ জানিয়েছে কমিশনের কাছে। তাদের দাবি ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে হবে।উল্লেখ্য, দু’দফায় উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন রাজ্য সফরে এসে আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি সেই রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন দিল্লির নির্বাচন কমিশনে।
সেই কারণেই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। দাগি দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা হয়েছে কি না, তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হয়েছে কি না, কোন কোন বুথ বেশি উত্তেজনাপ্রবণ, সেই বিষয়টির খোঁজ নিয়েছেন পুলিশ কর্তার কাছে।
বুধবার রাতে কলকাতা পৌঁছয় কমিশনের ফুল বেঞ্চ। কমিশন সূত্রে খবর, এপ্রিলের শুরু থেকে ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার আগে ভোট পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গেও কথা বলছে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। করোনা কালে এ রাজ্যে ভোটের বিষয়ে বিহার মডেলকে সামনে রাখতে চাইছে কমিশন। সে ক্ষেত্রে রাজ্যে আরও ২৮ হাজার বুথ বাড়াতে হবে। সেই নিয়েও প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করবে কমিশন।