প্রতীকী ছবি।
সবিস্তার সমীক্ষা ও খননকাজ পরে। তার আগে ডেউচা পাঁচামি কয়লা খনি প্রকল্প ও পুনর্বাসন নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ধন্দ-সংশয় কাটাতে চাইছে রাজ্য সরকার। সেই জন্য তারা ওই অঞ্চলে পুনর্বাসন নিয়ে আলোচনা করবে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর।
প্রাথমিক পর্যায়ে হরিণশিঙা ও দেওয়ানগঞ্জ ব্লকে কয়লা উত্তোলন শুরু করতে চেয়েছিল রাজ্য। দিঘার শিল্প সম্মেলনে সেই ঘোষণাও হয়ে গিয়েছিল। রাজ্যের দাবি, এলাকার জমি তাদের হাতে থাকায় এখনই কাজ শুরু করা সম্ভব। কয়েক দিন আগে ওখানে যাওয়ার কথা ছিল মুখ্যসচিব রাজীব সিংহের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সফর বাতিল করা হয়। প্রশাসনের অন্দরের খবর, দু’টি ব্লক ছাড়া বাকি খনি এলাকাতেও ধীরে ধীরে মানুষের সঙ্গে কথা বলে এবং তাঁদের সম্মতি নিয়ে তবেই এগোবে রাজ্য।
ওই খনি এলাকায় প্রায় ৩০০টি পরিবারের কমবেশি ১৮০০ মানুষের বাস। তাই প্রথমে আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক প্রশাসনিক কর্তা বলেন, ‘‘ওঁদের সকলকে পরিস্থিতি বোঝানো প্রয়োজন। প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তা হঠাৎ গিয়ে সকলকে একত্র করে পরিস্থিতি বোঝাতে পারবেন না। তাই স্থানীয় প্রশাসনকে এটা করতে বলা হয়েছে।’’ অন্য এক কর্তা জানান, ওই আদিবাসী মানুষগুলির মধ্য থেকে অল্প সংখ্যক প্রতিনিধিদের ডেকে নিয়ে কথা বলাও সমীচীন নয়। কারণ, তাঁদের নেতৃস্থানীয় কেউ নেই। তাই মুখ্যসচিব যাবেন কিছু দিন পরে।’’
সরকারি সূত্রের দাবি, আপাতত প্রকল্পের সুবিধা, পুনর্বাসনের এলাকা এবং প্রত্যেককে কী ধরনের বাসস্থান দেওয়া হবে, তা বোঝাবেন স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তারা। তার পরে সেখানে গিয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা করবে প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহল। এই সব কাজ শেষ হয়ে গেলে দরপত্র-সহ বাকি প্রক্রিয়া শুরু হবে। ইতিমধ্যে কয়লা মন্ত্রকের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সব ধরনের আলোচনা সেরে ফেলেছেন মুখ্যসচিব।