প্রতীকী ছবি।
অতিমারির দীর্ঘকালীন দাপটে বিভিন্ন ক্ষেত্রের মতো মারাত্মক ধাক্কা খেয়েছে পর্যটনও। ওই ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি সামাল দিতে সহায়ক প্রকল্প চালু করার পরে এ বার নীতি সংশোধনের আওতায় টুর অপারেটরদের রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি সরলীকরণের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। কোভিড-পরবর্তী সময়ের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি চলছে। আজ, সোমবার বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে পর্যটনে বিশেষ অ্যাপ চালু করছে রাজ্য।
প্রায় ১৫ বছর পরে পর্যটনের কিছু নীতিতে সম্প্রতি বদল ঘটিয়েছে রাজ্য। ক্ষেত্রবিশেষে টুর অপারেটরদের গোত্র বিভাজন করে পর্যটন-গাইড এবং ‘হোম স্টে’ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ ও শংসাপত্রের ব্যবস্থা হয়েছে। আগে টুর অপারেটদের রেজিস্ট্রেশন দু’বছর বৈধ থাকত। অভিজ্ঞ টুর অপারেটরদের ক্ষেত্রে সেই মেয়াদ বাড়িয়ে পাঁচ এবং নতুনদের ক্ষেত্রে তিন বছর করা হয়েছে। অনেক সংস্থাই মনে করছে, কোভিডে যে-ভাবে তাদের ব্যবসা মার খেয়েছে, রেজিস্ট্রেশন নবীকরণের নতুন নীতিতে তার কিছু সুরাহা হবে। গত দু’বছরে ৫৬৫টি হোম স্টে-র অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য। এ বার তাদের অনলাইনে যুক্ত করা হবে।
এক পর্যটন-কর্তা বলেন, “রাজ্যের জিডিপি-র অন্তত ১১% অবদান পর্যটন ক্ষেত্রের। এতে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হয়। মানুষ পর্যটনের সুবিধা চান। এই ক্ষেত্রকে চাঙ্গা করতে পারলে মানুষের চাহিদা, কর্মসংস্থানের সুযোগ, রাজ্যের আয়— সব কিছুতেই ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।”
রাজ্যের সিদ্ধান্ত, এ বার থেকে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে সরকারি আবাসে তিন মাস আগেই ঘর বুকিংয়ের সুবিধা থাকবে। পর্যটন দফতরের নতুন অ্যাপ (‘এক্সপিরিয়েন্স বেঙ্গল’) আজ, সোমবার চালু হচ্ছে। সেখানে হোটেল বুকিং থেকে পর্যটন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য মিলবে। সরকারি আবাস ভর্তি থাকলে ভ্রমণার্থীরা সরকার অনুমোদিত বেসরকারি হোটেলের তালিকাও মোবাইলে পথনির্দেশিকার সঙ্গে পেয়ে যাবেন। গাড়ি এবং ঘোরার জায়গার বিবরণও থাকবে অ্যাপে।
গঙ্গাবক্ষে টুর প্যাকেজ চালু করছে পর্যটন দফতর। দু’রাত-দু’দিনের ওই প্যাকেজে ১৫-২০ জন পর্যটককে ব্যারাকপুর থেকে নদীবক্ষে হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকা ঘুরিয়ে দেখানো হবে। ঐতিহাসিক এলাকাগুলি থাকবে ঘোরার তালিকায়। দু’রাত-তিন দিনের জন্য ঝাড়গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্যাকেজ টুরের ব্যবস্থা হচ্ছে। এই দু’টি প্যাকেজই সপ্তাহান্তের কথা ভেবে।