মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র
শিক্ষা দফতরে একটি চিঠির বাক্স রাখার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বাক্সে রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের পড়াশোনা সংক্রান্ত আর্থিক সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। এ ব্যাপারে স্বয়ং রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকেই নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। ব্রাত্যকে তিনি বলেছেন, ‘‘পয়সার অভাবে কারও পড়াশোনা যেন না আটকায়। যে সমস্ত চিঠি এখানে জমা পড়বে, তার প্রত্যেকটি দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দেরি যেন না হয়।’’
বৃহস্পতিবার কলকাতার বিশ্ব বাংলা মেলাপ্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছিল রাজ্যের ২০২৩ সালের বড় পরীক্ষায় কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা জানানোর অনুষ্ঠান। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ছাড়াও আইএসই, আইসিএসইর মতো পরীক্ষার কৃতী পড়ুয়া এবং তাঁদের অভিভাবকেরা এসেছিলেন সেখানে। সরকারের তরফে কৃতীদের একটি করে ব্যাগ উপহার দেওয়া হয়। সেই ব্যাগে ছিল বই, ল্যাপটপ, হাতঘড়ি, শংসাপত্র, পদক, আরও নানা রকম উপহার। ওই অনুষ্ঠানে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড মোবাইল অ্যাপেরও উদ্বোধন করেন মমতা। যে অ্যাপের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা সরকারি শিক্ষাঋণ নিয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা নিতে পারবেন। তবে এর পরেই মমতা জানান, তাঁর কাছে এখনও অর্থাভাবে পড়াশোনা করতে না পারার কথা জানিয়ে চিঠি আসছে। মঞ্চে মমতা বলেন, ‘‘অনেক চিঠি পেয়েছি। সব পড়েওছি। আমি কাজ ফেলে রাখি না। ‘অর্থের অভাবে পড়াশোনা করতে পারছি না’ বলে চিঠি এসেছিল। সেই চিঠি মুখ্যসচিবের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। টাকাপয়সার অভাবে এখানে কারও পড়াশোনার অসুবিধা হবে না।’’
এর পরেই মঞ্চে পাশে বসা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যকে শিক্ষা দফতরে চিঠির বাক্স লাগানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, ‘‘৫০ হাজার ছাত্রছাত্রীকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কার্ড করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ‘কন্যাশ্রী’, ‘ঐক্যশ্রী’, ‘শিক্ষাশ্রী’, ‘মেধাশ্রী’, ‘স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ’-এর মতো বৃত্তির ব্যবস্থা করে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের অর্থিক সুবিধা করে দিয়েছি। তার পরও যদি কারও সমস্যা হয়, তাঁদের জন্য শিক্ষা দফতর লেটার বক্স হোক। যাঁদের পড়াশোনায় টাকার অসুবিধা হচ্ছে, তাঁরা ওই বক্সে আবেদনপত্র পৌঁছে দেবেন।’’ এর পরেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, ‘‘প্রত্যেকটা চিঠি দেখে দেখে ব্যবস্থা নেবে। কার কী ব্যবস্থা নিলে যথাসময়ে আমাকে জানাবে। দেরি করবে না।’’