চা নিয়ে কেন্দ্রকে চাপে রাখতে সক্রিয় রাজ্য

বন্ধ বাগান খুলতে আগামী মাসে কলকাতায় রাজ্যের চা ডিরেক্টরেট বৈঠকে বসতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। সেই বৈঠকে ডাকা হবে ভারতীয় চা পর্ষদকেও (ইন্ডিয়ান টি বোর্ড)। 

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:০৯
Share:

নিজস্ব চিত্র

কেন্দ্রকে পাল্টা চাপে রাখতে চা বাগান নিয়ে সক্রিয় হল রাজ্যও। বন্ধ বাগান খুলতে আগামী মাসে কলকাতায় রাজ্যের চা ডিরেক্টরেট বৈঠকে বসতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। সেই বৈঠকে ডাকা হবে ভারতীয় চা পর্ষদকেও (ইন্ডিয়ান টি বোর্ড)।

Advertisement

রাজ্যের শাসক দলের দাবি, কেন্দ্রের চা পর্ষদকে বৈঠকে ডাকা হয়েছে কৌশলগত কারণেই। এর আগের বৈঠকেও পর্ষদকে বৈঠকে ডেকেছিল রাজ্য। শাসক দলেরই একটি সূত্রের দাবি, চা পর্ষদকে না ডাকলে রাজ্য তাদের এড়িয়ে একা চা বাগান খোলার চেষ্টা করছে বলে কেন্দ্রীয় সরকার যুক্তি দিতে পারে। সেক্ষেত্রে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হলে রাজ্যকেই দোষারোপ করতে পারে কেন্দ্র। সেই ঝুঁকি না নিয়ে চা পর্ষদকেও বৈঠকে ডেকে রাজ্য পুরো দায় একার কাঁধে রাখার রাস্তা বন্ধ করে দিল বলে দাবি।

গত শুক্রবার বিজেপি নেতারা দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে চা বাগান খোলার দাবি জানান। অমিত তাঁদের কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের কাছে পাঠিয়েছিলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী চা বাগান খুলতে বৈঠক ডাকার কথা বলেছেন বলে বিজেপির দাবি। তার আগেই রাজ্য এই বৈঠক ডাকল।

Advertisement

দিল্লি একতরফা ভাবে চা নিয়ে বৈঠক ডাকতে চলেছে বলে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল নেতারা। তবে রাজ্যের দাবি, দিল্লির একার পক্ষে চা বাগান খোলা সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সরকার যদি বাগান খুলতে কোনও মালিক বা সংস্থাকে খুঁজে নিয়ে আসে, তার পরেও সম্ভব নয় বলে দাবি। মালিকানা বদল হলে চা বাগানের জমির লিজ বদল করতে হবে। সেই ক্ষমতা রাজ্যের হাতেই রয়েছে। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের অনুমোদনেই লিজ বদল সম্ভব। দ্বিতীয়ত, নতুন সংস্থা কী ভাবে শ্রমিকদের বকেয়া মেটাবে, তা ঠিক করে রাজ্যের শ্রম দফতর। শ্রমিকদের বকেয়ার ফয়সালা না হলে বাগান খোলার প্রশ্নই নেই।

গত সপ্তাহেই রাজ্যের চা ডিরেক্টরেটের একটি বৈঠক হয়েছে। ফের আগামী মাসে বৈঠক রয়েছে। ডিরেক্টরেটের ভাইস চেয়ারম্যান তথা জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী বলেন, “রাজ্যকে বাদ দিয়ে কেন্দ্র কী ভাবে বৈঠক ডাকতে চলেছে জানি না। এর আগে ডুয়ার্সের সাতটি বন্ধ চা বাগান অধিগ্রহণ করেও চা পর্ষদ খুলতে পারেনি। এতদিন দিল্লি চা বাগানের জন্য কিছুই করেনি, এখন ভোটের জন্য চোখের জল ফেলছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement