আবার বেরোল টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি। ফাইল চিত্র।
বিতর্ক এবং মামলার আবহেই প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নতুন টেট পরীক্ষার জন্য শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি জারি করল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুক্রবার বিকেল ৪টে থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষার ফর্ম বোর্ডের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
ওই সময়সীমার মধ্যেই টেট পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন করা যাবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। আগামী ১১ ডিসেম্বর প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে ১১ হাজার শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আবেদন জানানো যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক স্কুলে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষকের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল পর্ষদ। তার পর আরও দু’দফায় সংশোধিত হয় সেই বিজ্ঞপ্তি। আর সেই সঙ্গেই বাড়তে থাকে বিতর্ক। ২৯ সেপ্টেম্বরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিএলএড (ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন)-এর পাশাপাশি বিএড (ব্যাচেলর অব এডুকেশন) যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। যা নিয়ে আপত্তি তুলে হাই কোর্টে মামলা করেন কয়েক জন টেট পরীক্ষার্থী।
মামলাকারীদের অভিযোগ, ডিএলএড ডিগ্রি শুধু মাত্র টেট পরীক্ষার জন্য কাজে লাগে। আর বিএড প্রয়োজন হয় স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের যে কোনও পরীক্ষায়। অর্থাৎ, প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকের জন্য দরকার ডিএলএড ডিগ্রি। আর উচ্চ প্রাথমিক (ব্যতিক্রম স্নাতক ডিএলএড), মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রয়োজন বিএড ডিগ্রি। মামলাকারীদের বক্তব্য, প্রাথমিক স্কুলের পরীক্ষায় যদি বিএড-রা ঢুকে যায়, তবে প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে। আর বঞ্চিত হবেন ডিএলএড ডিগ্রিধারীরা।
গত বুধবার পর্ষদের তরফে টেটের যোগ্যতা নিয়ে একটি সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিকে টেট পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যাঁরা এলিমেন্টারি এডুকেশনে দু’বছরের ডিপ্লোমা পর্যায়ের শিক্ষার্থী তাঁরাও আবেদনের যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। পাশাপাশি, এলিমেন্টারি এডুকেশনে চার বছরের ব্যাচলার্স ডিগ্রি পর্যায়ের পড়ুয়ারাও প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
যদিও ২৯ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, ওই দুই পর্যায়ে ডিপ্লোমা বা ডিগ্রিধারীরা আবেদনের যোগ্য হিসাবে বিবেচিত হবেন। তা ছাড়া আরসিআই স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে যাঁরা দু’বছরের ডিএড কোর্স বা এনসিটিই স্বীকৃত কোনও প্রতিষ্ঠানে দু’বছরের ডিএলএড কোর্সের চূড়ান্ত দফার পরীক্ষা দিয়েছেন, তাঁরা প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে বলা হয়েছিল ওই নির্দেশিকায়।