MAKAUT

কর্মযোগ্য পাঠেই জোর ম্যাকাউটে

এই উদ্যোগের অঙ্গ হিসেবে প্রথমত, পরীক্ষার খাতা ডিজিটালি দেখার ব্যবস্থা করেছেন ম্যাকাউট-কর্তৃপক্ষ। প্রায় সাত লক্ষ খাতা স্ক্যান করে সার্ভারে আপলোড করা হচ্ছে।

Advertisement

মধুমিতা দত্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২০ ০৬:২২
Share:

ফাইল চিত্র।

অনেক বিষয়ই তো পড়ছেন পড়ুয়ারা। বাস্তব জীবনে তার কতটা কাজে লাগছে অর্থাৎ শিক্ষা শেষ পর্যন্ত কতটা কর্মমুখী হয়ে উঠছে, সেই ব্যাপারে বিতর্কের অন্ত নেই। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক পঠনপাঠন এবং তার কর্মমুখিতার মধ্যে সমন্বয়ে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ম্যাকাউট)। ক্লাস ফাঁকি বা পরীক্ষায় নকলবাজির জেরে অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষায় যে-ফাঁক থেকে যায় (এবং পরে কর্মস্থলে তার প্রভাব পড়ে), যথাযথ ব্যবস্থার মাধ্যমে তারও প্রতিকার চাইছে তারা।

Advertisement

এই উদ্যোগের অঙ্গ হিসেবে প্রথমত, পরীক্ষার খাতা ডিজিটালি দেখার ব্যবস্থা করেছেন ম্যাকাউট-কর্তৃপক্ষ। প্রায় সাত লক্ষ খাতা স্ক্যান করে সার্ভারে আপলোড করা হচ্ছে। সেখান থেকে পরীক্ষকেরা ‘লগ ইন’ করে উত্তরপত্র দেখছেন। সেই খাতার পুরো তথ্যই ডিজিটালি জমা থাকছে ম্যাকাউটের কাছে। ‘‘এর ফলে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে যখন প্রার্থী চাওয়া হচ্ছে, কোন প্রার্থীর সেই বিষয়ে দক্ষতা বেশি, তা দেখে আমরা তাঁকে পাঠাতে পারব,’’ বলছেন ম্যাকাউটের পরীক্ষা নিয়ামক শুভাশিস দত্ত। তিনি জানান, ইউজিসি বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বারে বারেই ‘কোর্স আউটকাম’-এর কথা বলছে। সেটাকে তাঁরা গুরুত্ব দিচ্ছেন।

দ্বিতীয়ত, পড়ুয়ারা যাতে নিজের নিজের বিষয়ে যথেষ্ট মনোযোগী হয়, সেই জন্য প্রতিটি সিমেস্টারে চার বার মূল্যায়নের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তার রেকর্ড কলেজগুলিকে প্রতি মাসে অনলাইনে ম্যাকাউটের কাছে পাঠাতে হয়। ফলে ছাত্রছাত্রীরা কোনও পড়া ফেলে রাখতে পারছেন না। ক্লাস কামাইও করতে পারছেন না।

Advertisement

তৃতীয়ত, পরীক্ষা কেন্দ্রে কেউ যাতে অসৎ উপায় অবলম্বন করতে না-পারে, তার জন্য ম্যাকাউট আগেই অনলাইনে নজরদারির ব্যবস্থা করেছে। সেই জন্য ম্যাকাউটের অধীন প্রায় ২০০টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। টোকাটুকি রুখতেই কেন্দ্রীয় ভাবে এই ডিজিটাল নজরদারির ব্যবস্থা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পরীক্ষা হলের ছবি সরাসরি দেখা যাচ্ছে ম্যাকাউটের সল্টলেক ক্যাম্পাসে। কমবেশি দে়ড় লক্ষ পড়ুয়া পরীক্ষা দিচ্ছেন এই সিসি ক্যামেরার আওতায়। পরীক্ষা নিয়ামক জানান, ক্লাসে নিয়মিত পঠনপাঠন, যথাযথ মূল্যায়ন, অসৎ উপায় অবলম্বন না-করে পরীক্ষা দেওয়া ইত্যাদির মাধ্যমে এটা বোঝা অনেক সহজ হয়ে যাচ্ছে যে, এক জন পড়ুয়া ঠিক কতটা জানেন, কতটা শিখেছেন।

চতুর্থত, যুগোপযোগী বিভিন্ন বিষয়ের পঠনপাঠনও সমানে চালু করা হচ্ছে। ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটসঅ্যান্ড টেকনোলজি বিজনেস ম্যানেজমেন্টের পাঠ সম্প্রতি চালু হয়েছে। নৃতত্ত্ব, গুরুত্বপূর্ণ সৌধ সংরক্ষণের পাঠ্যক্রম চালু করারও প্রস্তুতি চালাচ্ছেন ম্যাকাউট-কর্তৃপক্ষ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement