পুরভোটের প্রচারে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করল কমিশন
রাজ্যে চার পুরনিগমের নির্বাচনী প্রচারে রোড শো, পদযাত্রা নিষিদ্ধ করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই সঙ্গে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সাইকেল ও বাইক মিছিল। করোনার লাগামছাড়া সংক্রমণ বৃদ্ধির আবহে কোনও রকম বড় সভা করা যাবে না বলেও জানিয়ে দিল কমিশন।
আগামী ২২ জানুয়ারি বিধাননগর, চন্দননগর, শিলিগুড়ি আসানসোলে পুরভোট রয়েছে। এই সময় সংক্রমণ বেলাগাম হতেই রবিবার কোভিড বিধিনিষেধ আরও কড়া করেছে রাজ্য সরকার। এই আবহে পুরভোটের প্রচারে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করল কমিশন।
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, পুরভোটের প্রচারে কোনও রকম রোড শো এবং পদযাত্রা করতে পারবে না রাজনৈতিক দলগুলি। নিষিদ্ধ সাইকেল বা বাইক মিছিল। আগে যদি কোনও রাজনৈতিক দলকে রোড শো, সাইকেল বা বাইক মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়ে থাকে, তা-ও বাতিল করা হল।
পুরভোটের প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করতে পারবেন। তবে নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া প্রার্থীর সঙ্গে সর্বোচ্চ চার জন থাকতে পারবেন প্রচারে। কমিশনের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, রাত ৮টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত প্রচার করতে পারবে না রাজনৈতিক দলগুলি।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
নির্দেশিকায় কমিশন জানিয়েছে, প্রচারে কোনও বড় সমাবেশ করা যাবে না। বড় মাঠে রাজনৈতিক দলের সভায় সর্বোচ্চ ৫০০ জন উপস্থিত থাকতে পারে। ওই মাঠে ঢোকা এবং বেরনোর পথ আলাদা রাখতে হবে। যদি চার দেওয়ালের ভিতর অর্থাৎ কোনও অডিটোরিয়াম বা কনফারেন্স হলে সভা হয়, সেখানে মোট আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশ উপস্থিত থাকতে পারবেন। তবে সেই সংখ্যা কখনওই ২০০-র বেশি হবে না।
বুথে বুথে কী ভাবে কোভিডবিধি মেনে চলা হবে, কী ভাবে সাজানো হবে গোটা ব্যবস্থাপনা, তা খতিয়ে দেখার জন্য চার পুরসভায় এক জন করে নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। নির্দেশিকায় জানিয়েছে, ভোটকর্মীদের দু’টি কোভিড টিকাই নিতে হবে। প্রার্থী এবং নির্বাচনী এজেন্টদের একটি টিকা নেওয়া থাকলেই হবে। কমিশনের কড়া নির্দেশ, ভোটগ্রহণের আগের দিন বুথে বুথে স্যানিটাইজেশন বাধ্যতামূলক। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে বুথের ভিতরে।
কমিশন আরও জানিয়েছে, ভোটের দিন একেবারে শেষ ঘণ্টায় অর্থাৎ বিকেল ৪টে থেকে ৫টা পর্যন্ত ভোট দিতে পারবেন কোভিড আক্রান্তরা।