কোভিড হাসপাতাল-সহ যে হাসপালগুলিতে কোভিড বেড ছিল সেগুলিতে বেড বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফাইল ছবি
রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা। একের পর হাসপাতালের চিকিৎসকরা আক্রান্ত হচ্ছেন কোভিডে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সোমবার থেকেই জারি হচ্ছে নানা বিধিনিষেধ। পরিস্থিতি যাতে আরও জটিল না হয়ে ওঠে তার জন্য সোমবার স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম একটি জরুরি বৈঠক করলেন। ভার্চুয়্যাল এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের একাধিক হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্তারা।
কোভিড হাসপাতাল-সহ যে হাসপালগুলিতে কোভিড বেড ছিল সেগুলিতে বেড বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় যে সর্বোচ্চ যত বেড ছিল সেই পরিমাণ বেড ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি সেফ হোমগুলিও বাড়ানো কথা বলা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের ছুটি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের যে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের হাসপাতালেই নিভৃতবাসের ব্যবস্থা করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের একাধিক হাসপাতালের চিকিৎসকরা কোভিড আক্রান্ত হচ্ছেন। এই পরিস্তিতিতে যাতে পরিষেবা ব্যাহত না হয় সে জন্য বাকি চিকিৎসকরা কাজের সময়ের বাইরেও হাসপাতালে সময় দেবেন।
কোভিড রোগীদের যাতে হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ওষুধ থাকে সে দিকে নজর দিতে হবে। কোভিড রোগী এবং বেডের হালহকিকত সম্পর্কে প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য দফতরকে তথ্য দিতে হবে।