সাংবাদিক সম্মেলন করে অনশন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করা হল। —নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এসএসসি-র চাকরিপ্রার্থীরা অনশন তুলে নিলেন। বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবনে গিয়ে সরকার গঠিত কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন হবু শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল। সেখান থেকে ফিরে এসে নিজেদের মধ্যে আলোচনার পরেই অনশন প্রত্যাহারের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন তাঁরা। ২৯ দিনের মাথায় অনশন প্রত্যাহার করা হলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এটা সাময়িক। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে যথাযথ পদক্ষেপ করা না হলে, ফের অনশন শুরু হবে।
এ দিন হবু শিক্ষকেরা বিকাশ ভবনে গিয়ে সরকার গঠিত কমিটির সঙ্গে দীর্ঘ ক্ষণ বৈঠক করেন। সেখানে তাঁরা সবিস্তার রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। ওই কমিটির তরফে তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনকারীদের তরফে ইনশান আলি বলেন, “আমরা অনশন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে। কিন্তু, যত দিন না প্রত্যেকের চাকরি হচ্ছে লড়াই চলবে। জুনের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করব।”
মেধা তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও, তাদের চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে— এই দাবিতে মেয়ো রোডে প্রেস ক্লাবের সামনে অনশনে বসেন বহু হবু শিক্ষক। তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে বাম, কংগ্রেস, বিজেপি-সহ বিভিন্ন রাজনৈতির দল এবং বিশিষ্ট জনেরা পাশে থেকেছেন। দীর্ঘ ২৯ দিনের আন্দোলনে প্রায় ৮০ জন এসএসসি চাকরিপ্রার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: বরদান মার্কেটের বেসমেন্টে ভল্টে আয়কর হানা, বাজেয়াপ্ত ৫ কোটি নগদ, ১৪ কোটির সোনা
আরও পড়ুন: আরএসএস ঘনিষ্ঠ হওয়ার অভিযোগ, সরতে হল রাজ্যের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষককে
গত কাল বুধবারই অনশনস্থলে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি ঘোষণা করেন, “মেধা তালিকায় নাম থাকা কেউ চাকরি থেকে বঞ্চিত হোক, তা আমি চাই না। প্রয়োজনে আইন বদল করতেও আপত্তি নেই। আমাকে একটু সময় দিন।’’
এ দিন বিকাশ ভবন থেকে ফিরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার পর ফল এবং ফলের রস খেয়ে অনশন প্রত্যাহার করেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, প্রথমে বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি রাজ্য সরকার। এ ব্যাপারে উদাসীন ছিল শিক্ষা দফতরও। বিশিষ্ট জনেরা পাশে দাঁড়াতেই সরকার তাঁদের দাবি শুনেছে বলেই আন্দোলনকারীদের দাবি।