—প্রতীকী ছবি।
সারা দেশে ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে পথ দুর্ঘটনায় ৫ লাখ ১৭ হাজার ৬৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কেবল ২০২২ সালে ৪ লক্ষ ৬১ হাজার ৩১২টি পথ দুর্ঘটনায় ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৪৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েছে ১১.৯ শতাংশ। মৃত্যুর হার বেড়েছে ৯.৪ শতাংশ।
পথ দুর্ঘটনার এমন ভয়াবহ ছবি উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের প্রকাশিত সমীক্ষায়। ‘সেভ লাইফ ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সংস্থার সহযোগিতায় মন্ত্রী নীতিন গডকড়ী সম্প্রতি ওই রিপোর্ট প্রকাশ করেন। পথ দুর্ঘটনার পরিসংখ্যানের বিচারে সারা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে একাদশতম স্থানে। পথ দুর্ঘটনা বেড়েছে ২.৯ শতাংশ।
সারা দেশের মোট পথ দুর্ঘটনার ৩২.৯ শতাংশ ঘটেছে জাতীয় সড়কে। দুর্ঘটনায় যত মানুষের মৃত্যু ঘটেছে তার ৩৬.২ শতাংশই জাতীয় সড়কে। পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা এবং তাতে মৃত্যুর নিরিখে উপরের দিকে রয়েছে তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ, কেরল, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান।
পশ্চিমবঙ্গে ২০২২ সালে ১৩ হাজার ৬৮৬টি দুর্ঘটনায় ৬০০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। পথ দুর্ঘটনায় ২০২১ সালের তুলনায় মৃত্যু বেড়েছে ৩.৪৮ শতাংশ। অস্বাভাবিক গতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৯.৮ শতাংশ ক্ষেত্রে। মৃত্যুর ঘটনায় ৩২.৩ শতাংশ ক্ষেত্রে কারণ হিসেবে উঠে এসেছে অস্বাভাবিক জোরে গাড়ি চালানোর সমস্যা। তা ছাড়াও ভুল লেনে গাড়ি চালানো, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, মোবাইল ফোনের ব্যবহার-সহ একাধিক কারণকে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়েছে।
রাজ্যে পথ দুর্ঘটনায় ৪৮.৩ শতাংশ ক্ষেত্রে পথচারীরা দুর্ঘটনার শিকার। মোট দুর্ঘটনার সংখ্যার নিরিখে ২৯৩৮ জন পথচারীর মৃত্যু ঘটেছে। সাইকেল আরোহীর ক্ষেত্রে ওই সংখ্যা ২৬০ জন। বাইক, স্কুটি-সহ দু’চাকার যাত্রীদের আরোহীর ক্ষেত্রে ওই সংখ্যা ৮৬৩ জন। তবে, রাজ্যে জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ২০২১ সালের তুলনায় সামান্য কমেছে।
দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলিতে (ব্ল্যাক স্পট) দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। রাস্তার ত্রুটি মেরামত করা ছাড়াও, উপযুক্ত সংকেত
ব্যবহার, সার্ভিস রোড তৈরি, মেডিক্যাল সাহায্যের পরিকাঠামো বৃদ্ধি, চালকেরা গাড়ি চালানোর সময় যাতে ‘ব্লাইন্ড স্পট’ দেখতে পান, তার জন্য গাড়িতে আয়না বসানো
ছাড়াও পুলিশি নজরদারি-সহ একাধিক পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে।