ছবি সংগৃহীত।
কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর ছিলই। এ বার অপরাধের তথ্য নিয়েও শুরু হল পারস্পরিক ‘দোষারোপের’ পালা। ২০১৯ সালের গোটা দেশের অপরাধের তথ্যপঞ্জি প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি)। তাতে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই ২০১৮ সালের পুরনো তথ্য দেওয়া হয়েছে। যদিও রাজ্য প্রশাসনের দাবি, দু’ মাস আগে, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সব তথ্য পাঠানো হয়েছিল দিল্লিতে। কিন্তু তা নথিভুক্ত করা হয়নি।
এই চাপানউতোরের ফলে দেশে অপরাধের যে ছবি প্রকাশ পেয়েছে তা থেকে কার্যত বাদ গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। প্রকাশনের একাংশের মতে, ২০১৮ সালের তুলনায় রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে। কিন্তু তা প্রকাশ পেল না। তা হলে কি আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগে নতুন তথ্য প্রকাশ করা হল না?
সদুত্তর মিলছে না। প্রসঙ্গত, মাস খানেক আগেই এনসিআরবি ২০১৯ সালের দুর্ঘটনা এবং আত্মহত্যার বিস্তারিত তথ্যপুঞ্জি প্রকাশ করেছিল। তাতে অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের তথ্য ছিল।
রাজ্য প্রশাসনের বক্তব্য, তথ্য এনসিআরবি পেয়েছিল এবং তার কিছু ব্যাখ্যাও তলব করে। ৭ অগস্ট সেই ব্যাখ্যাও পাঠানো হয়েছিল। এই তথ্য লেনদেন সংক্রান্ত রাজ্য পুলিশ ডিরেক্টরেটে রয়েছে বলেও এক শীর্ষ পুলিশকর্তার দাবি।
ভবানীভবন সূত্রের খবর, থানা স্তরে অপরাধের ঘটনার খুঁটিনাটি তথ্য জোগাড় করে জেলা ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (ডিসিআরবি)। সাধারণ ভাবে মার্চ-এপ্রিলের মধ্যেই গোটা বছরের সংগৃহীত তথ্য চলে আসে রাজ্য ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর (এসসিআরবি) কাছে। সেখান থেকে তথ্য যায় এনসিআরবি-র কাছে। এ বার করোনার জেরে কিছুটা দেরি হলেও জুলাই মাসে তা চলে গিয়েছিল। ফলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তথ্য বিশ্লেষণের সময় পেয়েছিল এনসিআরবি।
তবে একটি সূত্রের দাবি, এ বছর ৩০ জুনের মধ্যে অপরাধের বিস্তারিত তথ্যপুঞ্জি পাঠানোর দিন নির্দিষ্ট ছিল। করোনার কারণে তা আরও দশ দিন বাড়ানো হয়। অভিযোগ, তা সত্ত্বেও রাজ্য ওই তথ্যপুঞ্জি পাঠাতে পারেনি। যদিও রাজ্য পুলিশের একাধিক কর্তার বক্তব্য, তথ্য পাঠানোর পরে তা পর্যালোচনা করে প্রকাশ করার জন্য এনসিআরবির কাছে যথেষ্ট সময় ছিল। কিন্তু সেই কাজ তারা করেনি।