সুব্রত বক্সী
পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলে বিজেপির উত্থানে উদ্বেগ বেড়েছে তৃণমূলের অন্দরে। পরিস্থিতির প্রাথমিক পর্যালোচনায় মঙ্গলবার মেদিনীপুরে এলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। দলের তরফে তিনিই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পর্যবেক্ষক।
সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে জেলার তিনটি ব্লকে তৃণমূলের ফল তুলনায় খারাপ হয়েছে। আদিবাসী অধ্যুষিত গোয়ালতোড়, শালবনি, কেশিয়াড়িতে পদ্ম ফুটেছে। এই তিন এলাকার ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির জয়জয়কার। সব দিক দেখে মঙ্গলবার এই তিন এলাকার নেতাদেরই বৈঠকে ডেকেছিলেন সুব্রতবাবু। মেদিনীপুরে পৌঁছে বৈঠকস্থলের সামনে অন্য এলাকার নেতাদের ভিড় দেখে মেজাজও হারান তৃণমূল রাজ্য সভাপতি। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমি তো আর কাউকে ডাকিনি। তিনটি ব্লক ছাড়া আর কেউ যেন বৈঠকে না থাকে।’’ ধমক খেয়ে এলাকা ছাড়েন অন্য ব্লকের নেতারা।
এর আগে কবে শেষ মেদিনীপুরে এমন বৈঠক হয়েছে যেখানে শুধু তিনটি ব্লকের প্রতিনিধিরা হাজির থেকেছেন, তা মনে করতে পারছেন না প্রবীণ নেতারাও। তৃণমূলের এক জেলা নেতার কথায়, ‘‘জেলায় বিজেপির এমন বাড়বাড়ন্তও তো আগে হয়নি। আদিবাসী ক্ষোভের ছায়াও ভোটের ফলে পড়েনি।’’
আরও পড়ুন: মমতা কি পাহাড়ে, ভোটেরও জল্পনা
তৃণমূল সূত্রের খবর, জেলার এই তিন ব্লকের যে সব অঞ্চল থেকে বিজেপি জিতেছে, সেখানকার বুথ ভিত্তিক রিপোর্ট তলব করেছেন তৃণমূল রাজ্য সভাপতি। গোয়ালতোড়, শালবনি, কেশিয়াড়িতে যে ধাক্কা আসবে সেই ইঙ্গিত ছিল না তৃণমূলের কাছে। এই তিন ব্লকের মধ্যে তৃণমূলের ফল সব থেকে খারাপ কেশিয়াড়িতে। এখানে ৯টির মধ্যে ৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতই বিজেপি দখল করেছে। গোয়ালতোড়ে ১০টির মধ্যে ৪টি, শালবনিতে ১০টির মধ্যে ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি দখল করেছে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে সুব্রতবাবু বুঝিয়ে দিয়েছেন দলের কারও কারও আচার-আচরণ মানুষ ভাল ভাবে নেননি। ভোটে কে কোথায় কাকে মদত দিয়েছেন, সেই সব খবর দল পেয়েছে বলে জানান সুব্রতবাবু। তাঁর হুঁশিয়ারি, দল সব কিছু খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে।