প্রতীকী ছবি।
বেতন বৈষম্য নিয়ে সরব হলেন উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা। তাঁদের অভিযোগ, সরকারের দেওয়া বিভিন্ন সময়ের বিজ্ঞপ্তির জেরে এই বেতন বৈষম্য তৈরি হয়েছে। এর ফলে কেউ-কেউ বেতন বেশি পেলেও, অধিকাংশই বঞ্চিত হচ্ছেন।
পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক কনসিলিয়ামের তরফ থেকে গৌতম চক্রবর্তী জানান, ২০০৯ সালে রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, মাধ্যমিক স্কুলের থেকে যে সমস্ত শিক্ষকরা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক হয়েছেন, তাঁদের বছরে একটি অতিরিক্ত বেতনবৃদ্ধি হবে। কিন্তু তার পরেও অনেক জেলায় শিক্ষকরা তা পাননি। পরে ২০১৪ সালে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সেখানেও এই অতিরিক্ত বেতনবৃদ্ধির কথা উল্লেখ ছিল। কিন্তু হঠাৎই ২০১৭ সালের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ওই প্রধান শিক্ষকদের বছরে অতিরিক্ত বেতনবৃদ্ধি দেওয়া হবে না। এর বিরুদ্ধেই সরব হয়েছে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন। গৌতমবাবু বলেন, ‘‘এর ফলে কিছু শিক্ষক সুবিধা পেলেও অধিকাংশই বঞ্চিত হচ্ছেন। এই বৈষম্য মেটাতে সরকারের উচিত পুরনো নিয়মে ফিরে যাওয়া।’’ শিক্ষক নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘গত বছর শিক্ষামন্ত্রীকে এই বিষয়ে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছিলাম। উনি বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তার পর কিছু হয়নি।’’ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, বিষয়টি তিনি জানেন। কিন্তু এখন পঞ্চায়েত ভোট, তাই কিছু করা যাচ্ছে না। তবে সরকার বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক ভাবছে বলে দাবি করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর।