মাধ্যমিকের তৃতীয় স্থানাধিকারী অনন্যা দাশগুপ্ত।
খাওয়া এবং স্নান বাদে দিনের বেশির ভাগ সময়েই পড়াশোনা করত সে। এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার তৃতীয় স্থানাধিকারী পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের অনন্যা দাশগুপ্ত এমনটাই জানিয়েছে।
অনন্যার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। আসানসোল উমারানি গড়াই মহিলা কল্যাণ গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী। পরীক্ষার ফল বেরনোর পরই উচ্ছ্বসিত অনন্যার বাড়ির সদস্যরা। পরীক্ষার ফল প্রসঙ্গে অনন্যা বলে, “খুব ভাল লাগছে। এ রকম ভাবে পরের পরীক্ষাগুলিতেও যেন ভাল রেজাল্ট করতে পারি।” একই সঙ্গে সে জানিয়েছে, করোনার কারণে যে ভাবে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, সেই পরিস্থিতি যেন না আসে।
অনন্যার বাবা শুভ্র দাশগুপ্ত পেশায় শিক্ষক। তিনি বলেন, “মেয়ে টিউশন আর নিজের পড়াশোনাতেই ব্যস্ত থাকত। ওর খুব বুদ্ধি। চট করে অঙ্ক ধরে ফেলে। যে টুকু সময় পেতাম আমি নিজেও ওকে পড়াতাম। অনন্যা পড়ার পাশাপাশি অনেক বেশি লিখত।”
বাবার কাছে মূলত অঙ্কটাই দেখত অনন্যা। বাকি বিষয়গুলিতে সাহায্য করেছেন তার মা। এ ছাড়াও স্কুলের মকটেস্টগুলিও মেয়ের সাফল্যের অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন অনন্যার বাবা। অনন্যার জেঠু জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময় খাওয়া, খেলা এবং পড়াশোনা সব কিছুই করত অনন্যা। তিনি আরও জানান, অনন্যা গল্পের বই পড়তে খুব ভালবাসে। ভাল ছবিও আঁকে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।