Local Train

লোকাল ট্রেন কবে, বোঝা যাবে আজ?

অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুরোদমে চালু করতে লোকাল ট্রেন এবং মেট্রো চালু করানোর জন্য দাবিও যথেষ্ট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২০ ০৩:১৩
Share:

লোকাল ট্রেন চালু হলে সংক্রমণবৃদ্ধির আশঙ্কা নিয়েও চর্চা বাড়ছে। ছবি: সংগৃহীত।

রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনোদ যাদব সোমবার জানিয়েছিলেন, রাজ্য চাইলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে লোকাল ট্রেন চালানোর কথা ভাবা হবে। যদিও এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে এ বিষয়ে কিছু জানায়নি রাজ্য সরকার। প্রশাসনের এক শীর্ষকর্তার কথায়, “এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।” আধিকারিক মহলের অনুমান, আজ, বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দ্বিতীয় দফার বৈঠকের পরে এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হতে পারে।

Advertisement

তবে পূর্ব রেলের একটি চিঠি জল্পনা বাড়িয়েছে প্রশাসনিক মহলে। হাওড়া ডিভিশনকে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে লিখিত ভাবে। সংশ্লিষ্ট রেল সুরক্ষা বাহিনী এবং রেল আধিকারিকদের কাছে সুরক্ষা বিধি ইত্যাদি বিষয়ে ২৩ জুনের মধ্যে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।

প্রশ্ন হল, লোকাল ট্রেন বা মেট্রো চালু না-হলে সরকারি এবং বেসরকারি অফিস-সহ বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে কর্মীরা যেতে পারবেন না। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুরোদমে চালু করতে লোকাল ট্রেন এবং মেট্রো চালু করানোর জন্য দাবিও যথেষ্ট।

Advertisement

পথ-চিত্র
(প্রাক্-করোনা পরিস্থিতি)
• লোকাল ট্রেনে দৈনিক যাত্রী: ৩৫ লক্ষ
• মেট্রো: ৬.৫ লক্ষ
• বাস: ৬২ লক্ষ
• ফেরি: ২ লক্ষ
• অটো: ৩০ লক্ষ

তথ্য সূত্র: সরকারি, বেসরকারি পরিবহণ সংস্থা

তবে লোকাল ট্রেন চালু হলে সংক্রমণবৃদ্ধির আশঙ্কা নিয়েও চর্চা বাড়ছে। অফিসের সময়ে শহরতলি থেকে শহরে আসা ট্রেনে ধাক্কাধাক্কি করেই এক চিলতে জায়গা জোগাড় করেন যাত্রীরা। আর সেখানে দূরত্ববিধি মানা ‘সোনার পাথরবাটি’। যাত্রীদের থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের কথা রেলের তরফে ভাবা হয়েছে। তার বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব, সে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। কারণ, গ্রাম বা শহরতলির প্রায় বেশির ভাগ স্টেশনেই নিৰ্দিষ্ট প্রবেশ পথ নেই, বিভিন্ন জায়গা দিয়ে স্টেশনে পৌঁছনো যায়। সে ক্ষেত্রে যাত্রীদের স্ক্রিনিংয়ের জন্য উদ্ভূত পরিস্থিতি সামলানো যাবে? প্রত্যেক স্টেশনে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা কি রেলের পক্ষে সম্ভব? স্ক্রিনিংয়ের জন্য যে সময় প্রয়োজন, ট্রেন ধরার তাড়ায় তা কি দেখাতে পারবেন যাত্রীরা! এখনও রেলের তরফে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।

যদিও আর একটি অংশের দাবি, ছোঁয়াচ এড়ানোর জন্য অনেকে ব্যক্তিগত ভাবে গন্তব্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন। বাড়ি থেকে কাজ করার প্রবণতা বেড়েছে। তাই ভিড় কিয়দংশে কমবে বলে দাবি ওই অংশের। পাল্টা যুক্তি, তাতেও দূরত্ব বিধি মানা কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠবে। কারণ, খরচ আর সময় বাঁচানোয় অন্য সব গণপরিবহণকে কয়েক যোজন পিছনে ফেলে দেবে লোকাল ট্রেন। তবে মেট্রো পরিস্থিতি তুলনামূলক ভাল। কারণ, সেখানে নির্দিষ্ট প্রবেশপথ থাকার কারণে স্ক্রিনিংয়ের সুবিধা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement