ছবি: সংগৃহীত।
দাপট বাড়ছে করোনার। তাই প্রয়োজন আরও নিয়ন্ত্রণের। সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই মিষ্টি এবং ফুলের দোকান খোলা রাখার নির্ধারিত সময় বদলে দেওয়া হয়েছে। লকডাউনের মধ্যে দ্বিতীয় দফার বন্দোবস্ত হিসেবে এত দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত আট ঘণ্টা মিষ্টির দোকান খোলা রাখা হচ্ছিল। নতুন ব্যবস্থায় সেই সময়সীমা চার ঘণ্টা কমিয়ে বেলা ১২টা পর্যন্ত মিষ্টির দোকান খোলা রাখা যাবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। ফুলের দোকানগুলিও খোলা থাকবে বেলা ১২টা পর্যন্তই।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় ৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে সোমবার জানান মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ। রাজ্যে ওই ভাইরাসে এক দিনে পঞ্চাশের বেশি লোকের সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা এই প্রথম। এই পরিস্থিতিতে বাজার বন্ধের প্রয়োজন আছে কি না, সেই প্রসঙ্গে মুখ্যসচিব বলেন, ‘‘বাজার ব্যারিকেডিং করার চেষ্টা চলছে।’’ বাজারে ঢোকা এবং বেরোনোর ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে বলে জানান মুখ্যসচিব। রাজ্য সরকার স্থির করেছে, পাঁচ জন বেরিয়ে এলে তবেই আবার পাঁচ জন বাজারে ঢুকতে পারবেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের জনঘনত্ব এ ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই বাজার নিয়ন্ত্রণে সকলের সহযোগিতা চেয়ে মুখ্যসচিব বলেন, ‘‘প্রত্যেককে সচেতন এবং দায়বদ্ধ হতে হবে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বেরোবেন না। নিজের, পরিজন এবং প্রতিবেশীকে সঙ্কটে ফেলবেন না।’’
করোনা-আবহে লকডাউন ঘোষণার পরে প্রথম দফায় মিষ্টির দোকান বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত খোলা রাখার কথা জানিয়েছিল সরকার। দ্বিতীয় দফায় তাতে আরও চার ঘণ্টা সংযোজিত হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত দোকান খোলা রাখতে পারছিলেন বিক্রেতারা। এ দিন সেই সিদ্ধান্ত বদল করে বলা হয়েছে, বেলা ১২টা পর্যন্ত মিষ্টির দোকান খোলা রাখা যাবে। ফুলের দোকানের ক্ষেত্রেও সময় বেঁধে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এ দিনের নির্দেশিকায় আবার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সব ক্ষেত্রেই পারস্পরিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাবেচা চালাতে হবে।
আরও পড়ুন: পড়ুয়ার বাড়িতেও যাবে চাল ও আলু
আরও পড়ুন: শেষকৃত্যে ধুন্ধুমার, পুলিশ লুকোল জঙ্গলে
কলকাতা ও হাওড়ায় সংক্রমণ বাড়ছে। তাই ওই দুই ক্ষেত্রেই আরও বেশি শক্তপোক্ত ‘ব্যারিকেডিং’-এর উপরে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। তবে তার ফলে সাধারণ মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীতে যাতে কোনও ভাবেই টান না-পড়ে, সেই জন্য পাড়ায় পাড়ায় সুফল বাংলার গাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে সরকার। এমনিতেই সুফল বাংলার গাড়ি বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছে। আরও বেশি এলাকায় পৌঁছে যাবে তারা। ‘‘মানুষের কষ্ট রুখতে আমরা সব ব্যবস্থাই করছি,’’ বলেন মুখ্যসচিব।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)