West Bengal Lockdown

পড়ুয়ার বাড়িতেও যাবে চাল ও আলু

প্রশ্ন উঠছে, লকডাউন-সহ নানা কারণে যে-সব স্কুলে তা দেওয়া যাচ্ছে না, সেখানকার পড়ুয়ারা কী ভাবে এই চাল-আলু পাবে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২০ ০০:৫১
Share:

প্রতীকী ছবি।

পুলিশ-প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখেই সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে মিড-ডে মিলের তিন কিলোগ্রাম চাল এবং তিন কিলোগ্রাম আলু বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, লকডাউন-সহ নানা কারণে যে-সব স্কুলে তা দেওয়া যাচ্ছে না, সেখানকার পড়ুয়ারা কী ভাবে এই চাল-আলু পাবে?

Advertisement

সর্বশিক্ষা মিশনের চেয়ারম্যান কার্তিক মান্না বলেন, যে-সব স্কুলে এই চাল-আলু বিতরণ করা যাবে না, সেই স্কুলগুলির পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তা দিয়ে আসা হবে। ওই সব পড়ুয়ার নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করা হচ্ছে।’’ বিকাশ ভবন সূত্রের খবর, সারা রাজ্যে এ দিন স্কুলে অভিভাবকদের মধ্যে চাল-আলু বিলি শুরু হয়। চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। কলকাতায় ৬৪০টি স্কুলে চাল-আলু দেওয়া হয়েছে।

২৩ মার্চ লকডাউনের মধ্যে প্রথম দফায় চাল-আলু বিতরণ ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, যাদবপুর বিদ্যাপীঠ ও কাটজুনগর স্বর্ণময়ী বিদ্যাপীঠে অভিভাবকদের সঙ্গে ওই খাদ্যসামগ্রী নিতে চলে আসেন তাঁদের ছেলেমেয়েরাও। সেই জন্য ওই দুই স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের বদলির নির্দেশ আসে বিকাশ ভবন থেকে। এ দিন দ্বিতীয় দফায় চাল-আলু বিলির সময় কোনও অভিভাবকের সঙ্গে পড়ুয়া যাতে স্কুলে না-আসে, সেটা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষিকাদের।

Advertisement

আরও পড়ুন: মাথাপিছু ১ হাজার টাকা, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘স্নেহের পরশ’ রাজ্যের

কলকাতার কোনও স্কুলে পড়ুয়া আসার অভিযোগ এ দিন ওঠেনি। যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘স্কুলের বাইরে অভিভাবকেরা গোল দাগের মধ্যে দাঁড়িয়ে চাল-আলু নিয়েছেন। যাদবপুর থানার পুলিশও সাহায্য করেছে। আমার স্কুলে কোনও অভিভাবকের সঙ্গে পড়ুয়া আসেনি।’’

আরও পড়ুন: হাওড়ায় হোম ডেলিভারির আওতায় প্রায় ১ লক্ষ মানুষ

তবে প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় অভিভাবকদের সঙ্গে পড়ুয়াদের স্কুলে আসা পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। পশ্চিম মেদিনীপুরের কিছু শিক্ষক জানান, প্রত্যন্ত এলাকার আদিবাসী গ্রাম থেকে কিছু পড়ুয়াও হাজির হয়েছিল। কারণ, অভিভাবকদের সঙ্গে পড়ুয়াদের স্কুলে আসা যে বারণ, সেই নির্দেশ ওই সব এলাকায় পৌঁছে দেওয়াটাই খুব সমস্যার। তবে যে-সব পড়ুয়া না-জেনে স্কুলে এসেছিল, সঙ্গে সঙ্গে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

এ দিন যে-সব শিক্ষক চাল-আলু বিলি করেছেন, তাঁদের বেশির ভাগই স্কুলের আশপাশের এলাকার বাসিন্দা। কেউ কেউ কয়েক কিলোমিটার হেঁটে এসেছেন। তবে বেশির ভাগই গাড়ি, মোটরবাইকে বা সাইকেলে এসেছেন বলে জানান শিক্ষক-শিক্ষিকারা।


(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement