তেলেনিপাড়ার ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ, বক্তব্য নবান্নের।
হুগলির তেলিনিপাড়ার গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ দ্রুত এবং কড়া পদক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে বলে জানাল নবান্ন। সোমবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, তেলিনিপাড়ায় যাঁরা শান্তিভঙ্গ করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।
রবিবার সন্ধ্যায় লকডাউনের মধ্যেই ভদ্রেশ্বর থানা এলাকার তেলিনিপাড়ায় দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সূত্রের খবর, যথেচ্ছ ইট-পাটকেল ছোড়া থেকে বোমা ছোড়ার ঘটনাও ঘটে ওই সংঘর্ষে। ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। রবিবারের ঘটনা নিয়ে সোমবার সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক বিতর্ক। বিজেপি এই অশান্তির ঘটনায় অভিযোগের আঙুল তোলে শাসকদলের দিকে। রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রও এ দিন টুইট করে তেলিনিপাড়ার গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনার প্রসঙ্গ তোলেন এবং পুলিশকে পদক্ষেপ করতে অনুরোধ করেন। তার মাঝে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় তেলিনিপাড়ায় যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে বাধা দেয় পুলিশ। লকেটের অভিযোগ, ‘‘স্থানীয় এক কাউন্সিলরের নেতৃত্বে ব্যাপক হামলা চালানো হয়েছে। লুটপাট চালানো হয়। আমি ঘটনাস্থলে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। আমি পুলিশ কমিশনারকে ফোন করলে, তিনি বলেন, ১৪৪ ধারা লাগু করা হয়েছে। তাই আমাকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। আমি পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে আমাকে চন্দনগর থানায় আসতে বলা হয়। অথচ সেখানে যাওয়ার পর কমিশনার দেখা করেননি।”
এর পর এ দিন বিকেলে স্বরাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে টুইট করে বলা হয় যে, পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে। সেই সঙ্গে ওই টুইটে বলা হয়েছে, কেউ ওই ঘটনা নিয়ে কেউ কোনও উস্কানি দিলে বা শান্তিভঙ্গ হতে পারে এমন তথ্য ছড়ালে তাঁর বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। পরিস্থিতি এখন শান্তিপূর্ণ বলে দাবি করা হয়েছে ওই টুইটে।
আরও পড়ুন: বাড়ি ফিরতে চাওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু ঠেকাতে হবে সংক্রমণও: মোদী
আরও পড়ুন: স্পেশাল প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ভাড়া কত, কী কী নিয়ম আপনাকে মেনে চলতে হবে
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল থেকে চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ সকাল থেকে টহল দিচ্ছে গোটা এলাকায়। রবিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে ১৫ জনকে। পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর নিজে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান।