শনিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে জুনিয়র ডাক্তারদের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশের সাংবাদিক বৈঠক। —নিজস্ব চিত্র।
পূর্ব ঘোষণা মতোই গণ কনভেনশনের ডাক দিল জুনিয়র ডাক্তারদের নুতন সংগঠন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স’ অ্যাসোসিয়েশন’ (ডব্লিউবিজেডিএ)। আগামী শনিবার, ৯ নভেম্বর এই কনভেনশনের ডাক দেওয়া হয়েছে। উত্তর কলকাতার স্টার থিয়েটারে দুপুর ৩টে নাগাদ ওই কনভেনশন হবে। কারা উপস্থিত থাকবেন এই সম্মেলনে তা এখনও পর্যন্ত জানানো হয়নি ডব্লিউবিজেডিএ-র তরফ থেকে।
গত ২৬ অক্টোবর আরজি কর হাসপাতালে যখন জুনিয়র ডক্টর্স’ ফ্রন্টের ডাকা গণ কনভেনশন চলছে, সেই সময়েই কলকাতা প্রেস ক্লাবে আত্মপ্রকাশ করে জুনিয়র ডাক্তারদের তুল এই সংগঠন। আত্মপ্রকাশের দিনই ডব্লিউবিজেডিএ-র তরফে শনিবার ঘোষণা করা হয়েছিল, কিছু দিনের মধ্যেই তারাও গণ কনভেনশনের আয়োজন করবে। কলকাতা শহরেই হবে সেই কনভেনশন। জুনিয়র ডাক্তারদের পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষকেও সেই কনভেনশনে শামিল করার চেষ্টা করা হবে। ডব্লিউবিজেডিএ-র তরফ থেকে এ-ও জানানো হয়, গণ কনভেনশনের পরে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও দ্বারস্থ হতে পারেন।
আত্মপ্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নতুন সংগঠনের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগ এনেছিল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট। একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়ে যেখানে দেখা যায়, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে জুনিয়র ডাক্তারদের নতুন সংগঠনের আহ্বায়ক শ্রীশ চক্রবর্তীকে। সন্দীপ, শ্রীশ ছাড়াও ছবিতে রয়েছেন ‘থ্রেট কালচার’-এ অন্যতম অভিযুক্ত অভীক দে (সেই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)-ও।
শ্রীশ যদি পাল্টা দাবি করেন, তাঁরা পরিষেবা এবং আন্দোলন সমান্তরাল ভাবে চালাতে চেয়েছিলেন বলেই তাঁদের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগ তোলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আরজি করে নির্যাতিতারর জন্য বিচার চেয়ে আমরাই আন্দোলন শুরু করেছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম আন্দোলন চলুক এবং পরিষেবাও দেওয়া হোক। কিন্তু অন্য একটি অংশ পরিষেবা না দিয়ে কেবল আন্দোলনের কথা বলতে থাকে।’’