মায়ের সঙ্গে সায়নদীপ সামন্ত। নিজস্ব চিত্র।
পরীক্ষায় ভাল ফল করতে হলে নেটমাধ্যম থেকে দূরে থাকুন। পড়ুয়াদের জন্য এই বার্তাই দিলেন উচ্চ মাধ্যমিকে দ্বিতীয় হওয়া সায়নদীপ সামন্ত। সায়নদীপ পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার জলচক নটেশ্বরী নেতাজি বিদ্যায়তনের ছাত্র। ৪৯৭ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সায়নদীপ।
উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন সায়নদীপ। তিনি বলছেন, ‘‘আশা করিনি যে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় দ্বিতীয় হব। তবে ফল ভাল হবে এই আত্মবিশ্বাস ছিল।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি বরাবরই ফেসবুক, টুইটার থেকে দূরে। আমার কোনও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই।’’ পড়ুয়াদের উদ্দেশে সায়নদীপের পরামর্শ, ‘‘দিনে সাধারণত ঘণ্টা দশেক পড়াশোনা করেছি। প্রতি বিষয়েই আমার গৃহশিক্ষক ছিলেন। যাঁরা পরীক্ষা দেবেন তাঁদের বলব, পড়াশোনার সময় নেটমাধ্যম থেকে দূরে থাকুন। তা হলেই ফল ভাল হবে।’’ তবে ক্রিকেট খেলতে এবং সিনেমা দেখতে তিনি যে ভালবাসেন সে কথা জানিয়েছেন সায়নদীপ।
বরাবরই মেধাবী ছাত্র সায়নদীপ। তাঁর বাবা মদন সামন্ত পেশায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬৩৮ পেয়েছিলেন সায়নদীপ। তাঁরা সবংয়ের বলপাই গ্রামের বাসিন্দা। উচ্চ মাধ্যমিকে তিনি ভর্তি হন পিংলার জলচক নটেশ্বরী নেতাজি বিদ্যায়তনে। মা রিঙ্কু সামন্ত ছেলের পড়াশোনার জন্য ভাড়া থাকেন মেদিনীপুর শহরে। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চান সায়নদীপ। এখন তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন জয়েন্ট পরীক্ষার জন্য।