ছবি: সংগৃহীত।
ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিন যুঝছেন তাঁরা। আগামী বছরের করণীয় স্থির করার আগে সেই আধিকারিকদেরই ‘পরামর্শ’ শুনল স্বাস্থ্যভবন। শনিবার নিউটাউনের এক হোটেলে এ সংক্রান্ত সভায় মশা মারতে ধোঁয়া দেওয়া বন্ধের প্রস্তাব উঠল। ডেঙ্গি রোধে বাড়ি বাড়ি পরিদর্শনের কাজে যে ঘাটতি রয়েছে তা-ও জানিয়ে দিল সভা।
দফতর সূত্রের খবর, জেলাশাসক-সহ জেলা স্তরে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের ১১টি দলে ভাগ করে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি সংক্রান্ত আলোচ্য বিষয় দেওয়া হয়। প্রতিটি দলকে নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরে নিজেদের পর্যবেক্ষণ পাওয়ার পয়েন্টে উপস্থাপনা করতে বলা হয়। সময় বেঁধে দেওয়া হয় পাঁচ-দশ মিনিট। ওই সময়ের মধ্যে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে কোথায় সমস্যা হচ্ছে তা স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ কর্তাদের নজরে আনেন কলকাতা পুরসভা-সহ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের মশাবাহিত রোগের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকেরা।
ধোঁয়ায় যে মশা মরে না তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছে। তবুও বাসিন্দাদের ‘সন্তুষ্ট’ রাখতে সেই সংস্কৃতিতে ইতি পড়েনি। যার প্রেক্ষিতে বৈঠকে ফগিং বন্ধের প্রস্তাব দেন সদস্যদের একাংশ। আরেকাংশের বক্তব্য ছিল, বাড়ি বাড়ি সমীক্ষক দলেরা গিয়ে দেখছেন কারও জ্বর হয়েছে কি না। বাড়ির কোথাও জমা জলে লার্ভা রয়েছে কি না। এর পর আর এক দিন লার্ভা নিধন দল (ভেক্টর কন্ট্রোল টিম) যান। এ রকম পৃথক যাত্রায় আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে অনেকে জানান। ব্লক স্তরে ডেঙ্গি-তথ্য যে ঠিকমতো বিশ্লেষণ হচ্ছে না, তা নিয়ে আলোচনা হয়। ড্রোন প্রযুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি স্থানীয় স্তরে গাপ্পি মাছের চাষের প্রস্তাব দেন আধিকারিকদের একাংশ। ডেঙ্গি সচেতনতা প্রচারে বদল এবং জেলা স্তরে এনটোমোলজি ল্যাবরেটরি নির্মাণের কথাও ওঠে।
আরও পড়ুন: রুট কমছেই দার্জিলিঙের, দাবি রেলের
বাসিন্দাদের অনেকে জঞ্জাল সাফাই করেন না বলে অনুযোগ দীর্ঘ দিনের। সে প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের এক শীর্ষ কর্তা জানান, কলকাতা পুরসভা নন্দন কর্তৃপক্ষ, জুলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকেও জরিমানা করেছে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘যাঁরা ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের কাজ করছেন তাঁদের অভিজ্ঞতা শোনা হয়েছে। আলোচনার নির্যাস ধরে আগামী বছরের অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি হবে।’’ আগামী বছর জানুয়ারি-মার্চেও লার্ভা নিধনের কাজ চলবে বলে জানান তিনি।