প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে হোম আইসোলেশন বা সেফ হোমে থাকা করোনা রোগীদের শারীরিক পরিস্থিতির উপরে প্রতিনিয়ত নজরদারির প্রশ্নে কি ফাঁক রয়েছে! রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের জারি করা একটি ‘অ্যাডভাইজ়রি’র প্রেক্ষিতে এই প্রশ্ন উঠে গেল শুক্রবার।
এ দিন স্বাস্থ্য দফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘অ্যাডভাইজ়রি’তে প্রোটোকল মনিটরিং দলের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে রাজ্যের সবক’টি সরকারি-বেসরকারি কোভিড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের তিনটি বিষয় মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। অ্যাডভাইজ়রিতে বলা হয়েছে, পরিদর্শনের পরে প্রোটোকল মনিটরিং দলের নজরে বেশ কিছু খামতি ধরা পড়েছে। যা অবিলম্বে সংশোধন করা প্রয়োজন।
স্বাস্থ্য দফতরের অ্যাডভাইজ়রিতে বলা হয়েছে, মৃদু উপসর্গযুক্ত এবং উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের গৃহ নিভৃতবাসে রাখা যেতে পারে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার মতো পর্যাপ্ত জায়গা থাকতে হবে। আক্রান্তের পরিচর্যার জন্য সর্বক্ষণের লোক (কেয়ারগিভার) থাকতে হবে, তা-ও অ্যাডভাইজ়রিতে নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
দ্বিতীয় পরামর্শ হল ‘সেফ হোম’ সংক্রান্ত। সেখানে বলা হয়েছে, প্রতিটি ‘সেফ হোম’ একটি কোভিড হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। ‘সেফ হোমে’র কোনও রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। আবার কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কোনও রোগীর উপসর্গের মাত্রা কমলে তাঁকে ‘সেফ হোমে’ এনে রাখার ব্যবস্থাও করতে হবে। স্বাস্থ্য দফতরের বক্তব্য, ‘সেফ হোমে’ থাকা করোনা রোগীদের স্বাস্থ্যের দেখভাল করার দায়িত্ব সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক দলের।