প্রতীকী ছবি।
সরাসরি এনআরএস-কাণ্ডের উল্লেখ করা হচ্ছে না। তবে চিকিৎসক, বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং রোগীর পরিজনদের মধ্যে আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করছে রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন।
বিশেষত বেসরকারি হাসপাতালে পরিষেবার অভিজ্ঞতা কেমন, ৩ অগস্ট নিউ টাউনের কনভেনশন সেন্টারের আলোচনাসভায় সমাজের বিশিষ্টজনদের কাছে কমিশন তা জানতে চাইবে। বেসরকারি হাসপাতালের কর্ণধারদেরও ডাকা হয়েছে। স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলা যাতে শুনতে না-হয়, তার জন্য সহমতের ভিত্তিতে একটা আদর্শ পরিবেশ তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য।’’
চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় কমিশন সম্প্রতি কিছু রায় দিয়েছে। তার উল্লেখ করে কমিশন-প্রধান শুক্রবার বলেন, ‘‘চিকিৎসক, হাসপাতাল, রোগীর স্বজনদের মধ্যে বিশ্বাসের জায়গা তৈরি করতে না-পারলে আগামী দিনে এই ধরনের অভিযোগ আরও আসবে। পরিবেশ আরও দূষিত হবে।’’
বৃহস্পতিবারের একটি নির্দেশের প্রসঙ্গ টেনে চেয়ারম্যান জানান, চিকিৎসকেরা বলছেন, রোগীর অস্ত্রোপচারে সাফল্যের হার যে কম, তা জানানো হয়েছিল। রোগীর স্বজনেরা বলছেন, চিকিৎসকেরা তাঁদের সঙ্গে কথাই বলেননি। এই প্রেক্ষিতে চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগের আগে তার উপকারিতা-অপকারিতা সম্পর্কে রোগীর পরিজনদের যথাযথ কাউন্সেলিং করানোর পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন। সেই প্রক্রিয়া শেষে নথিভুক্ত বক্তব্যে রোগীর স্বজনদের সই আবশ্যিক তো বটেই। একই সঙ্গে সেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া ভিডিয়োয় তুলে রাখতে বলা হয়েছে। রোগীর পরিজন চাইলে নিজেদের খরচে সেই ভিডিয়োগ্রাফির সিডি বা পেন ড্রাইভে ফাইলও পেতে পারেন।
আবার ভুয়ো বিল সংক্রান্ত একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাসপাতাল-চত্বরের ওষুধের দোকানে ছাড় বাধ্যতামূলক করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান বলছেন, ‘‘সরকারি প্রচেষ্টায় যদি ছাড়ে ওষুধ পাওয়া যা, বেসরকারি হাসপাতালে সেই ব্যবস্থা থাকবে না কেন!’’