আরও একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পেয়ে গেল দক্ষিণ-পূর্ব রেল তথা পশ্চিমবঙ্গ। প্রতীকী ছবি।
কোন রুটে চলবে, চূড়ান্ত হয়নি ঠিকই। তবে আরও একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পেয়ে গেল দক্ষিণ-পূর্ব রেল তথা পশ্চিমবঙ্গ। প্রথম শ্রেণির সেই ট্রেনের রেক হাওড়া অভিমুখে রওনা হয়ে গিয়েছে বলে রেল সূত্রের খবর।
নানান প্রশ্ন ও বিতর্কের মধ্যে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত চালু হয়েছে কিছু দিন আগে। বাংলার ভাগ্যে আরও একটি বন্দে ভারতের শিকে ছেঁড়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছিল। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি বা আইসিএফ-কে পঞ্চদশ ও ষোড়শ বন্দে ভারতের রেক দক্ষিণ-পূর্ব রেল এবং উত্তর-সীমান্ত রেলের জন্য বরাদ্দ রাখার নির্দেশ দেয় রেল বোর্ড। সরকারি নির্দেশ অনুসারে ওই দু’টি রেক রেলের এই দুই জ়োন বা বিভাগের কাছে আসার কথা। রেল বোর্ডের তরফে চেন্নাইয়ের আইসিএফ এবং দুই বিভাগের কাছে ২৪ এপ্রিল পাঠানো চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই এই নিয়ে জল্পনা ছড়ায়। তার পরেই নতুন রেকের রওনা হওয়ার খবর মেলে।
হাওড়া-পুরী ও হাওড়া-রাঁচী রুটে বন্দে ভারত চালানোর বিষয়ে আগ্রহের কথা বোর্ডকে জানিয়েছিল দক্ষিণ-পূর্ব রেল। নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটিও সম্ভাব্য রুট। হাওড়া-রাঁচী রুটে শতাব্দী এক্সপ্রেসের গড় গতিবেগ ঘণ্টায় মাত্র ৫৯ কিলোমিটার। ধানবাদের পরে বোকারো-চন্দ্রপুরা শাখায় খনি এলাকায় ভূগর্ভস্থ আগুনের জন্য ট্রেনটি ঘণ্টায় মাত্র ৩০ কিলোমিটার গতিবেগে ছোটে। রেলপথের সমস্যা ওই রুটে বন্দে ভারত চালু করার অন্তরায়। খড়্গপুর, টাটানগর, পুরুলিয়া হয়ে রাঁচী যাওয়ার পথও বিবেচনায় আছে। হাওড়া-পুরী রুটে যাত্রী বেশি। রেললাইনের সমস্যাও কম। তীর্থক্ষেত্র ও পর্যটনের নিরিখে পুরীর গুরুত্ব সমধিক।
রেলকর্তাদের বক্তব্য, বন্দে ভারত কোথায় কী ভাবে চলবে, সেই সিদ্ধান্ত নেয় রেল মন্ত্রক তথা রেল বোর্ড। দুই বিভাগের জন্য ১৬ কোচের পূর্ণাঙ্গ বন্দে ভারত বরাদ্দ করা হয়েছে।