প্রতীকী ছবি।
জুনিয়র ডাক্তারদের ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। কোভিডের লড়াইয়ে সামনে থেকে কর্তব্যপালনের পুরস্কার হিসেবে এই ভাতা বাড়ানো হল, জানিয়েছে রাজ্য।
সোমবার স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘জুনিয়র ডাক্তারেরা যে লড়াই করছেন, তাকে সম্মান জানাতে আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেও রাজ্য তাঁদের ভাতা
বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্তত ১০ হাজার জুনিয়র ডাক্তার এর ফলে উপকৃত হবেন।’’
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইন্টার্নদের ভাতা ২৩ হাজার ৬২৫ থেকে বেড়ে হবে ২৮ হাজার ৫০ টাকা। বৃদ্ধির পরিমাণ ৪৪২৫ টাকা। হাউস স্টাফেরা এত দিন পেতেন ৩৮ হাজার ৩৯১ টাকা। তা ৫৩৬৭ টাকা বেড়ে হবে ৪৩ হাজার ৭৫৮ টাকা। প্রথম বর্ষের স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়াদের ভাতাও ৩৮ হাজার ৩৯১ টাকা থেকে বেড়ে হবে ৪৩ হাজার ৭৫৮ টাকা। এই পাঠ্যক্রমের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের ভাতা বাড়ছে ৫৭৮০ টাকা। এত দিন তাঁরা পাচ্ছিলেন ৪১ হাজার ৩৪৪ টাকা। এ বার তাঁরা পাবেন ৪৭ হাজার ১২৪ টাকা। ৬১৯৩ টাকা বৃদ্ধি হওয়ায় তৃতীয় বর্ষের স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়াদের ভাতা ৪৪ হাজার ২৯৭ টাকা থেকে বেড়ে হল ৫০ হাজার ৪৯০ টাকা। প্রথম বর্ষের পোস্ট ডক্টরেট ট্রেনিরা ৪৭ হাজার ২৫০ টাকার পরিবর্তে পাবেন ৫৩ হাজার ৮৫৬ টাকা। বৃদ্ধির পরিমাণ ৬৬০৬ টাকা। দ্বিতীয় বর্ষের ভাতা ৫০ হাজার ২০৪ টাকার বদলে হবে ৫৭ হাজার ২২২ টাকা। তৃতীয় বর্ষের ভাতা ৫৩ হাজার ১৫৭ টাকা থেকে বেড়ে হচ্ছে ৬০ হাজার ৫৮৮ টাকা। বৃদ্ধির পরিমাণ ৭৪৩১ টাকা।
চন্দ্রিমা জানিয়েছেন, মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) বা অন্যান্য আর্থিক উপাদান বৃদ্ধির ঘোষণা রাজ্য সরকার করলে, তার সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে এই ভাতার পরিমাণও বাড়বে। তবে নার্স বা অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের বেতন বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি জানান, যথাসময়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য।
আরও পড়ুন: নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর ১৪ তলায় সতর্কতা, করোনা আক্রান্ত ৪ গাড়িচালক
প্রশাসনিক ব্যাখ্যায়, গত কয়েক মাস ধরে লাগাতার স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সরকারি হাসপাতালগুলিতে যেখানে কোভিড-চিকিৎসা হচ্ছে, সেখানে দিন-রাত এক করে কাজ করতে হচ্ছে তাঁদের। আবার অন্য রোগের চিকিৎসা যে হাসপাতালগুলিতে চলছে, সেখানেও সমান তালে কাজ করছেন সংশ্লিষ্টেরা। প্রধানত তাঁদের কারণেই বেশি সংখ্যক রোগীকে সময়ের মধ্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক শীর্ষকর্তাদের অনেকে। তাই এই বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত।
সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম।