Health Department

Health Infrastructure: স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে খরচ হবে কেন্দ্রের অর্থ

হরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চলে কোন কোন ক্ষেত্রে ওই টাকা খরচ করা হবে, সে বিষয়ে প্রাথমিক রূপরেখাও তৈরি করেছে স্বাস্থ্য দফতর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৮:১৮
Share:

প্রতীকী চিত্র।

স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ঢেলে সাজাতে ইতিমধ্যেই জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পে সমস্ত রাজ্যকে আর্থিক প্যাকেজ দেওয়ার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। করোনা পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়েই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত বলে স্বাস্থ্য শিবিরের পর্যবেক্ষণ। সেই প্রকল্পেই রাজ্যের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৪ হাজার ৪০২ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা। আগামী পাঁচটি আর্থিক বর্ষে (২০২১-২২ থেকে ২০২৫-২৬) গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলের চিকিৎসা পরিকাঠামো উন্নয়নে ওই টাকা খরচ করতে হবে রাজ্যকে।

Advertisement

রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী সোমবার জানিয়েছেন, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের থেকে প্রাপ্ত ওই টাকার মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা শহরাঞ্চল এবং ২ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা গ্রামাঞ্চলের চিকিৎসা পরিকাঠামো উন্নয়নে খরচ করা হবে। শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চলে কোন কোন ক্ষেত্রে ওই টাকা খরচ করা হবে, সে বিষয়ে প্রাথমিক রূপরেখাও তৈরি করেছে স্বাস্থ্য দফতর।

প্রশাসন সূত্রের খবর, বহু জায়গাতেই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চলছে ভাড়া বাড়িতে। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সরকারি জমি চিহ্নিত করে সেখানেই ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নিজস্ব ভবন তৈরি করা হবে ওই টাকায়। সেখানে অন্তত পাঁচটি করে হলেও শয্যার ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়াও ব্লকস্তরে পাবলিক হেলথ ইউনিট তৈরি করা হবে। গ্রামীণ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরিবর্তন করা হবে। প্রাথমিক স্বাস্থ্য থেকে ব্লকস্তর, সর্বত্রই অ্যাম্বুলেন্স ও অক্সিজেন পরিষেবা রাখার দিকেও জোর দেওয়া হবে। পাশাপাশি গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে শহরাঞ্চলেও ডায়গনেস্টিক পরিকাঠামো তৈরি করা হবে।

Advertisement

এ দিকে থার্মোমিটারের পারদের মতোই ওঠানামা করছে সংক্রমণও। সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০৬ জন।

বিগত কয়েক দিন ধরে দৈনিক আক্রান্ত সাতশোর ঘরে থাকলেও, আচমকাই তা অনেকটা নিম্নমুখী। কিন্তু এতে উচ্ছ্বাসের কারণ নেই বলেই স্পষ্ট জানাচ্ছেন সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ থেকে চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁদের কথায়, “মনে রাখতে হবে শনি-রবিবার পরীক্ষা কিছুটা হলেও কম হয়। তার ফলে সোমবারের বুলেটিনে সংখ্যা আগের ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ রবিবারের আক্রান্তের সংখ্যা হয়তো কিছুটা হলেও কম প্রতিফলিত হয়েছে।”

এ দিনের বুলেটিন অনুযায়ী, একশোর উপরে আক্রান্ত একমাত্র উত্তর ২৪ পরগনা (১০৪ জন)। তারপরেই রয়েছে কলকাতা (৯৩) এবং নদিয়া (৪৬)। শেষ দুদিনের তুলনায় মৃতের সংখ্যা কমলেও, তা ১০-র নীচে নামেনি। কলকাতা ও নদিয়ার তিন জন করে মারা গিয়েছেন।

এ দিন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন, “প্রতি সপ্তাহে টিকা আসছে তা সকলেই দেখতে পাচ্ছে। তা সত্ত্বেও এ রাজ্যে টিকা নেই বলে অভিযোগ। সে জন্যই আমি শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি করেছিলাম। এখানে পদ্ধতি স্বচ্ছ নয়। প্রতিটি রাজ্যকে জনসংখ্যার অনুপাতে টিকা দিচ্ছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের বক্তব্য, রাজ্যের হাতে তিন থেকে পাঁচ কোটি টিকা সব সময় থাকার কথা।“ তাঁর আরও অভিযোগ, মানুষ সকাল থেকে দাঁড়িয়ে থাকছে, তার পরে টিকা পাচ্ছেন না। বোঝা যাচ্ছে না কেন। টিকা নিতে গিয়ে পুলিশের ডান্ডাতে মানুষ মারা যাচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement