গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্যে চার পুরনিগমের ভোট সম্ভবত পিছিয়েই যাচ্ছে। নবান্নের তরফে শনিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হল, কমিশন ভোট পিছিয়ে দিলে সরকারের কোনও আপত্তি নেই। ঘটনাচক্রে কয়েক দিন আগে ডায়মন্ড হারবারে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কোভিডের এই বাড়াবাড়ির সময়ে যে কোনও ধরনের ভোট পিছিয়ে দেওয়া উচিত বলে তিনি ‘ব্যক্তিগত ভাবে’ মনে করেন।
আগামি ২২ জানুয়ারি ভোট হওয়ার কথা ছিল বিধাননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল এবং চন্দনগর পুরসভার। কোভিড পরিস্থিতিতে এই পুরভোট নিয়ে আপত্তি তুলে অনেকেই আদালতে যান। এই পরিপ্রেক্ষিতেই শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ভোটের তারিখ পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানায়। কোভিড আবহে জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেয়। তবে এ ব্যাপারে কমিশনকেই ‘স্বাধীন সিদ্ধান্ত’ নিতে বলে হাই কোর্ট।
শুক্রবারই হাই কোর্টের রায় নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়ে চিঠি দেয় কমিশন। তারই উত্তরে শনিবার রাজ্য ভোট পিছনোর পক্ষে সায় দেয়। চিঠিতে তারা জানায়, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় তত্পর রয়েছে রাজ্য। এখন কমিশন যদি কিছু দিনের জন্য ভোট পিছিয়ে দেয়, তাতে তাদের আপত্তি নেই। যদিও এর আগে আদালতে একাধিক বার ভোট পিছনোর বিরোধিতা করেছে নবান্ন।
শনিবার নবান্নের চিঠে পাওয়ার পর, বিকেলের মধ্যেই ভোট পিছিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করতে পারে কমিশন। সূত্রের খবর, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট চাইছে নবান্ন।