গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর হয়নি কেন? অশান্তিপ্রবণ এলাকা বলতে কী বোঝায়? কী ভাবে নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করা যাবে? নির্বাচনী অশান্তিতে অভিযুক্তদের কতটা শাস্তি দেওয়া গিয়েছে? জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই ধরনের প্রশ্নই রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের দিকে ধেয়ে আসতে পারে বলে কমিশনের খবর।
শুধু সংখ্যাতত্ত্ব নয়, ব্যাখ্যাও দিতে হবে রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের। তার প্রস্তুতিতেই মঙ্গলবার পুলিশ কমিশনার, সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতরের কর্তারা।
তিন দিনের রাজ্য সফরে আজ, বুধবার রাতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার নেতৃত্বে ফুল বেঞ্চের কলকাতায় আসার কথা। সেই বেঞ্চের সামনেই লোকসভা ভোটের প্রস্তুতিতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন উঠবে। কার্যকর না-হয়ে কত গ্রেফতারি পরোয়ানা ছ’মাসের বেশি পড়ে রয়েছে, সেটা তালিকায় থাকতে পারে। চাওয়া হবে রাজ্য পুলিশের বাহিনীর খতিয়ান। গত চার বছরে সেই বাহিনীতে কর্মী-অফিসার কত বেড়েছে, তাঁদের মধ্যে ক’জনকে ভোটের কাজে ব্যবহার করা যাবে, তা-ও জানতে চাইতে পারে কমিশন।
গোলমেলে এলাকার কোনও মানচিত্র করা হয়েছে কি না, প্রশাসনিক কর্তাদের সেই প্রশ্নও করতে পারেন কমিশনের কর্তারা। কী কারণে কোন জেলা কতটা স্পর্শকাতর, তার পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা দিতে হতে পারে রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের। বৈধ, অবৈধ অস্ত্র সংক্রান্ত রিপোর্ট তৈরি রাখতে হচ্ছে প্রশাসনকে। ভোটে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ কী ভাবে সামলাবে প্রশাসন, তা জানতে চাইতে পারে কমিশন। জেলার নিরাপত্তা সংক্রান্ত রিপোর্টের জন্য ‘পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন’ তৈরি করছেন কমিশনার, পুলিশ সুপারেরা। জেলাভিত্তিক নিরাপত্তার রিপোর্ট জমা দিতে পারেন রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসারও। অতীতে ভোট-গোলমালে ক’জনের শাস্তি হয়েছে, জেলা ধরে ধরে সেই তথ্য চাইতে পারে কমিশন।
কমিশনার, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভিডিয়ো-সম্মেলনে এই সব রিপোর্ট তৈরির বিষয়ে আলোচনা হয়। ছিলেন এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) অনুজ শর্মাও। ছিলেন রিটার্নিং অফিসারেরা। এ দিনই প্রশিক্ষণ এবং পরীক্ষার পালা শেষ হয়েছে তাঁদের।