মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ইজ়রায়েলে আটকে থাকা বাঙালিদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্বতন টুইটার) পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি রাজ্যের মুখ্যসচিব ও দিল্লির রেসিডেন্ট কমিশনারকে বলেছেন, যাঁরা আটকে রয়েছেন তাঁদের নিখরচায় দেশে ও রাজ্যে ফেরাতে সব রকমের সরকারি সহযোগিতা করতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন নয়াদিল্লির বঙ্গভবন ও রাজ্যের সচিবালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। নয়াদিল্লির বঙ্গভবনের কন্ট্রোল রুমের নম্বর- ০১১-২৩৭১-০৩৬২/ ০১১-২৩৭২-১৯৯১। নবান্নের কন্ট্রোল রুম নম্বর- ০৩৩-২২১৪-৩৫২৬। মমতা এক্স হ্যান্ডলে আরও জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে ইজ়রায়েল থেকে যাঁরা দিল্লিতে পৌঁছেছেন তাঁদের মধ্যে ৫৩ জন বাংলার বাসিন্দা। তাঁদের রাজ্যে ফেরার জন্য রেলের টিকিটের ব্যবস্থা করেছে নবান্নই। ইজরায়েল থেকে দেশ বা রাজ্যের যাঁরা দিল্লিতে পৌঁছবেন, তাঁদের থাকার জন্য বঙ্গভবন খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজ়রায়েলে আটকে থাকা ২১২ জন ভারতীয় শুক্রবার সকালে দিল্লিতে পৌঁছন। ওই ভারতীয়দের নিয়ে নয়াদিল্লিতে অবতরণ করে কেন্দ্রের পাঠানো বিশেষ বিমান। ইজ়রায়েলে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর জন্য বিশেষ চার্টার্ড বিমানের ব্যবস্থা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার ইজ়রায়েলের স্থানীয় সময় রাত ৯টা নাগাদ সে দেশের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর থেকে ভারতের উদ্দেশে প্রথম বিমানটি ছাড়ে। নয়াদিল্লি পৌঁছয় শুক্রবার সকালে। কেন্দ্রের তরফে এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন অজয়’। ধাপে ধাপে আরও ভারতীয়কে ফেরানো হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
এর আগে ইউক্রেন থেকে আটকে থাকা বাংলার বাসিন্দাদের রাজ্যে ফেরাতে তৎপরতা দেখিয়েছিল রাজ্য সরকার। মেডিক্যাল পড়ুয়াদের অনেকের জন্য বাংলায় বিকল্প বন্দোবস্তও করেছিল মমতা-সরকার। পরে সেই পথে হাঁটে কেন্দ্রীয় সরকার তথা মেডিক্যাল কাউন্সিলও।