— ফাইল চিত্র।
তীব্র গরমে কষ্টের মধ্যে আবার রাজ্যবাসীকে বাধ্যতামূলক ভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হতে পারে। রাজ্যে সম্প্রতি নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এমনই সিদ্ধান্ত নিতে পারে রাজ্য সরকার। ঠিক কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে তা জানিয়ে মঙ্গলবারই সরকারের তরফে নির্দেশিকা জারি হতে পারে। নবান্ন সূত্রে খবর, সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে হওয়া বৈঠকে অনেকেই রাজ্যে করোনার সংক্রমণ ফিরে আসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
রাজ্যে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে সংক্রামিতের সংখ্যা ১০০-র গণ্ডি পেরিয়েছিল। দ্বিতীয় সপ্তহে কলকাতায় এক করোনা আক্রান্তের মৃত্যুও হয়। ২০২৩ সালে রাজ্যে প্রথম কোভিডে মৃত্যু হয়েছিল গত ২৫ মার্চ। তার দু’সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই ১৩ এপ্রিল কলকাতায় করোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধের মৃত্যুর খবর মেলে।
শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয়, সম্প্রতি দেশের অন্যত্রও করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক না হলেও আগাম সতর্কতার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে সাম্প্রতিক তথ্যে। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে এক দিনে ১১ জনের মৃত্যু হয়। তার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া গত ১৩ এপ্রিল জানিয়েছেন, আগামী আট থেকে দশ দিন সংক্রমণ ধাপে ধাপে বাড়বে। তার পরে তা কমতে শুরু করবে।
এমন পরিস্থিতিতে এই রাজ্যেও সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৬৪১। রবিবার ৫০০ টপকানোর পরে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯০ জন বেড়েছে। এই তথ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার আগাম সতর্কতা নিতে চায়। নবান্ন সূত্রে খবর, সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঠিক হয়েছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করোনাকালের নিয়ম কানুন একটু একটু করে কার্যকর করা হবে রাজ্যে। সরকারি দফতর দিয়েই কাজ শুরু করতে চায় রাজ্য। সব দফতর নিয়মিত স্যানিটাইজ করার পাশাপাশি কর্মীরা যাতে মাস্ক ব্যবহার করেন সে ব্যাপারে জোর দেওয়া হবে। একই সঙ্গে থার্মাল গান এবং স্যানিটাইজার ব্যবহারেও জোর দেওয়া হবে। গ্রীষ্মাবকাশ শেষ হলে স্কুলে স্কুলে একই নিয়ম জারি করা যায় কি না তা-ও ভাবছে সরকার। তবে আপাতত সব পুরসভাকে নিজের নিজের এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে সাধারণ মানুষের জন্য কী কী নিয়ম কার্যকর হবে সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি।