চলতি বছরে বেড়েছে এই বৃত্তির পরিধি।
রাজ্য সরকারের স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের সুবিধা এখন থেকে আরও বেশি পড়ুয়া পাবেন। এই বৃত্তির মাধ্যমে প্রতি মাসে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের টাকা দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এত দিন মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক থেকে শুরু করে যে কোনও পরীক্ষায় ৭৫ শতাংশ নম্বর পেলে এই বৃত্তির জন্য আবেদন করা যেত। এ বার থেকে ৬০ শতাংশ নম্বর পেলেই পাওয়া যাবে এই বৃত্তি। গত সেপ্টেম্বরেই এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চলতি বছরে যে সব ছাত্রছাত্রী এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে চান তাঁদের এখনই উদ্যোগী হতে হবে। গত ১৬ নভেম্বর থেকে চালু হয়েছে অনলাইনে আবেদন নেওয়া। ২০১৬ সালে এই প্রকল্প শুরু করে মমতা সরকার। যার পোশাকি নাম ‘স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ’। দশম, দ্বাদশ এবং স্নাতক স্তরের যে কোনও শাখার পড়ুয়ারা এই সুযোগ পান। মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি ও পেশাগত কোর্সের ছাত্রছাত্রীরাও এই বৃত্তির আওতায় পড়েন। এখন যে নিয়ম রয়েছে তাতে সর্বশেষ পরীক্ষায় কমপক্ষে ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। এমএ-র পড়ুয়াদের শেষ পরীক্ষায় পেতে হবে কমপক্ষে ৫৩ শতাংশ নম্বর। গবেষণা করার জন্যও বৃত্তি পাওয়া যায়। এমফিল-এর জন্য মাসে পাঁচ হাজার টাকা এবং পিএইচ. ডি-র জন্য মাসে আট হাজার টাকা।
আবেদনের জন্য আর যা যা শর্ত রয়েছে তার মধ্যে আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতেই হবে এবং পারিবারিক আয় বছরে আড়াই লাখ টাকার কম হতে হবে। রাজ্য সরকারের অন্য বৃত্তির সুবিধা পান এমন পড়ুয়ারা অবশ্য এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন না। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে মাসে এক হাজার, স্নাতক স্তরে বিষয় অনুযায়ী এক থেকে পাঁচ হাজার টাকা এবং স্নাতকোত্তর স্তরে দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। পলিটেকনিকের পড়ুয়ারা পাবেন প্রতি মাসে দেড় হাজার টাকা।
এই বৃত্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করা যাবে রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইট (www.svmcm.wbmdfc.co.in)-এর মাধ্যমে। সবার আগে বৃত্তি পেতে ইচ্ছুকদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সেই সময়ে বেছে নিতে হবে কোন কোর্সের জন্য বৃত্তি পেতে চান। জন্মের শংসাপত্র, শেষ পরীক্ষার অ্যাডমিট, মার্কশিট, আধার কার্ড স্ক্যান করে দিতে হবে। সেই সঙ্গে জমা দিতে হবে পারিবারিক আয়ের শংসাপত্র। এ ছাড়া ব্যাঙ্কের যাবতীয় তথ্য এবং সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী নতুন যে কোর্সে ভর্তি হয়েছেন তার রসিদ জমা দিতে হবে। সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই বৃত্তির টাকা জমা দেয় রাজ্য সরকার।