নবান্ন। — ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগে বরাবরই সরব রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। তবে রাজ্যগুলি কেন্দ্রীয় করের থেকে যে ভাগ (ডেভলিউশন) পেয়ে থাকে, তা নির্দিষ্ট সময়েই আসছে। ফেব্রুয়ারির করের ভাগের অর্থে বৃহস্পতিবার রাতেই কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক অনুমোদন দিয়েছে। তাতে গোটা দেশে ১.৪২ লক্ষ কোটি টাকা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। বঙ্গ পেয়েছে ১০ হাজার ৬৯২ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনেই একে হাতিয়ার করেছে বিজেপি।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী আরামবাগে সভা করেন। সেই মঞ্চ থেকেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, ইউপিএ সরকারের ১০ বছরের তুলনায় এনডিএ সরকার গত ১০ বছরে অনেক বেশি অর্থ দিয়েছে রাজ্যকে। তবে আর্থিক বিশ্লেষকদের অনেকের ধারণা, শুধু করের ভাগ নিয়ে নয়, সব খাত মিলিয়েই হয়তো এ কথা বলতে চেয়েছেন শুভেন্দু। প্রসঙ্গত, এর আগে গত ডিসেম্বর ও নভেম্বরে ৫৪৮৮ কোটি টাকা করে এবং জুন মাসে ৮৮৯৮ কোটি টাকা করের ভাগ বাবদ পেয়েছিল রাজ্য। যদিও রাজ্যের অর্থ-কর্তাদের অনেকের বক্তব্য, এ টাকা রাজ্যের প্রাপ্যই। জিএসটি চালু হওয়ার পরে বেশিরভাগ অর্থই পৌঁছয় কেন্দ্রের হাতে। সেখান থেকে রাজ্যগুলিকে তা ভাগ করে দেওয়া হয়।
আর্থিক বিশেষজ্ঞদের অনেকে মনে করাচ্ছেন, কেন্দ্রীয় কর-শুল্কের ভাগ হিসাবে চলতি আর্থিক বছরের (২০২৩-২৪ বছরের সংশোধিত হিসেবে) অনুমানের থেকে বেশি (সব মিলিয়ে প্রায় ৮৩ হাজার কোটি) অর্থ পাচ্ছে রাজ্য। আগামী অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫) তা ৯২ হাজার কোটি টাকা হওয়ার অনুমান করছে রাজ্যই।