প্রতীকী ছবি।
করোনা আবহকে সঙ্গী করে ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে মানবজগত। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোটের জন্য আসন সংরক্ষণের কাজ শুরু করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সংরক্ষণ নিয়ে কোনও দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ জমা পড়লে, তার শুনানি অনলাইনের মাধ্যমে করবে তারা। আর থমকে থাকা শতাধিক পুরভোটের পরিকল্পনার জন্য পদক্ষেপ করতে বিহার বিধানসভার নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
২০১৫ সালের অক্টোবরে শিলিগুড়ি মহকুমায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়। সেখানের ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েতে রয়েছে ৪৬২টি আসন। মাটিগাড়া, ফাঁসিদেওয়া, নকশালবাড়ি এবং খড়িবাড়ি— চার পঞ্চায়েত সমিতিতে ৬৬টি আসন রয়েছে। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে রয়েছে ৯টি আসন। ২০১৫ সালের নভেম্বরের মাঝামাঝির মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং মহকুমা পরিষদে বোর্ড গঠন হয়েছিল। ফলে চলতি বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝির আগে শিলিগুড়ি মহকুমায় পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে হবে। তার প্রস্তুতিতে মহকুমা পরিষদের আসন সংরক্ষণের কাজ শুরু করেছে কমিশন। গত ১৮ অগস্ট, মঙ্গলবার, তার খসড়া প্রকাশ করেছে তারা। একই ভাবে, গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির আসন সংরক্ষণের কাজ শুরু করেছে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন। এই বিষয়ে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে।
আসন সংরক্ষণ নিয়ে কোনও দাবি, আপত্তি বা অভিযোগের নিষ্পত্তির জন্য অনলাইন শুনানির ব্যবস্থা করবে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করা না গেলে শিলিগুড়ি মহকুমার ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে দৈনিক কাজকর্ম পরিচালনার ভার প্রশাসকের হাতে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চলতি বছরের মার্চের গোড়ায় করোনাভাইরাসের কারণে রাজ্যের শতাধিক পুরসভার ভোট না করার কথা জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সে বিষয় নিয়ে আর নতুন পদক্ষেপ না করলেও বিহার বিধানসভা নির্বাচন থেকে অতিমারি পর্বে ভোট করা ‘বুঝতে’ চায় তারা। কমিশনের আধিকারিকদের মতে, নতুন নিয়মকানুন কেমন হয়, কী কী সতর্কতা দরকার, প্রচার কৌশল বা কী হয়— বিহার নির্বাচন থেকে তার একটা ধারণা পাওয়া যেতে পারে। বঙ্গের শতাধিক পুরভোট অনুষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে তা কাজে লাগানো যেতে পারে।