অভিনেত্রী মানালি দে
রাজনৈতিক দিক থেকে তো বটেই, এ ছাড়াও ব্যক্তিগত ভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা আছে। এমনটাই মনে করেন অভিনেত্রী মানালি দে। সদ্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন অভিনেত্রী। বুধবার হুগলির সাহাগঞ্জে টলিউডের আরও কিছু শিল্পীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে দলে নাম লিখিয়েছেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী, সুদেষ্ণা রায়, অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ, জুন মাল্য, অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিকও।
তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই অভিনেত্রী কথা বললেন আনন্দবাজার ডিজিটালের সঙ্গে। জানালেন তাঁর এই সিদ্ধান্তের কারণ। মানালির কথায়, ‘‘যাঁরা আমাকে খুব কাছ থেকে চেনেন, তাঁরা জানেন যে আমি চিরকালই দিদির অনুগামী। তবে খাতায়-কলমে যোগ দিয়ে দলীয় রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্তটা নতুন।’’
মানালির মা যখন মারা যান, তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। মানালি সে কথা ভুলতে পারেন না। বললেন, ‘‘আমি এক জন সাধারণ মানুষ। খারাপ সময়ে আমার পাশে ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এ ছাড়াও অরূপদা (রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস) ছিলেন গোটা সময়টা। শুধু তা-ই নয়, যখন-যখন আমার জীবনে খারাপ সময় এসেছে, দিদি ছিলেন। সে জায়গা থেকে তাঁর প্রতি আমার অগাধ কৃতজ্ঞতা বোধ।’’
দিদি যেখানে আছেন, মানালিও সেখানে থাকবেন। নানা ভাবে সে কথাই জানালেন অভিনেত্রী। বললেন, ‘‘যা-ই হয়ে যাক, আমি দিদির সঙ্গ ছাড়ব না। ২০১১ সাল থেকে তাঁকে ভালবেসেছি, ভরসা করেছি। আজও তাই। আগামী দিনেও তাঁর পাশেই থাকব।’’
একটি উদাহরণ দিলেন মানালি দে। অনেকেই তাঁর কাছে জানতে চেয়েছেন, কী পাওয়ার আশায় রাজনৈতিক দলে যোগ দেন অভিনেতারা? জানালেন, এ রকম বহু প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁকে। বললেন, ‘‘তাঁদের জিজ্ঞেস করছি, আজ পর্যন্ত তৃণমূলের কাছ থেকে আমি কী কী পেয়েছি? কেউ দেখিয়ে দিক। প্রমাণ দিক আমাকে। আমি মেনে নেব।’’
মানালি সুস্থ বাংলা চান। ভাল ভাবে বাঁচতে চান। আর তাঁর মতে, বাংলার আবেগ মমতার থেকে ভাল কেউ বোঝেন না। তবে বিজেপি-কে নিয়ে কোনও মন্তব্যই করতে চান না অভিনেত্রী।