ব্রাত্য বসু। —ফাইল চিত্র
ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা ‘নিট’-এ অনিয়মের অভিযোগে তোলপাড় শুরু হয়েছে গোটা দেশে। বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করেছে সুপ্রিম কোর্টও। এই আবহে নিট ‘দুর্নীতি’ নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবি জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
শনিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ব্রাত্য বলেন, “আমি বুঝতে পারছি না কেন এখনও নিট-এ অনিয়ম নিয়ে ইডি কিংবা সিবিআই তদন্ত শুরু করা হল না। এটা কি কেন্দ্রের ব্যর্থতা নয়?” পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কেন্দ্রীয় তদন্তের পক্ষে সওয়াল করে গেলেও কেন নিট নিয়ে তারা নীরব, সেই প্রশ্নও তুলেছেন ব্রাত্য।
শনিবার ব্রাত্য কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তোপ দেগে বলেন, “নিট নিয়ে এই বিতর্কে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতাই প্রকাশ পেয়েছে। হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। আমাদের রাজ্যে শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে অনেক তদন্ত হল, অনেক গ্রেফতারিও হল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের নিট, যা ভারতের সবচেয়ে সম্মানজনক পরীক্ষা, তার জন্য কোনও তদন্ত হবে না?”
নিট-এ প্রশ্নফাঁস এবং ঢালাও নম্বর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একসঙ্গে ৬৭ জনের প্রথম স্থান পাওয়া ওই ঢালাও নম্বর দানের ফল বলেই মনে করছেন অনেকে। এই নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পরীক্ষার্থীদের একাংশ। সরব হয় বিরোধী দলগুলিও। চলতি বিতর্কের মধ্যে সম্প্রতি কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে, নিট-এ যে ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থী গ্রেস নম্বর বা বাড়তি নম্বর পেয়েছিলেন, তাঁদের ওই অতিরিক্ত নম্বর বাতিল করা হচ্ছে। কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, ওই পরীক্ষার্থীরা চাইলে আবার পরীক্ষা দিতে পারবেন। আগামী ২৩ জুন সেই পরীক্ষা হবে।
নিট নিয়ে অসংখ্য মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এই বিষয়ে জাতীয় পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা (এনটিএ)-কে নোটিস দিয়ে জবাবও তলব করেছে শীর্ষ আদালত। আগামী ৮ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে নিট সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি রয়েছে। শনিবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করার কথা বলেছেন।